রাঙামাটিতে বৃদ্ধকে গলাটিপে হত্যা

মামলায় ঘাতকের যাবজ্জীবন সাজা

সিটিজি পোস্ট প্রতিবেদক

রাঙামাটি প্রতিনিধি | সিটিজি পোস্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ৫ নভেম্বর, ২০২৫

রাঙামাটিতে বৃদ্ধকে গলাটিপে হত্যা

রাঙামাটিকে বৃদ্ধ জেলেকে গলাটিপে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত মূল আসামী জমর কান্তি চাকমাকে দোষী সাব্যস্থ করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।

রাঙামাটির জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ আহসান তারেক এর আদালত বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে এই রায় দেন। রায়ে আদালত আসামীকে যাবজ্জীবন সাজার পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের দন্ডাদেশ প্রদান করেছেন। রাঙামাটি জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, বিগত ২০২০ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারী বিকেলে রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলাধীন সাক্রাছড়ি গ্রামের ধুপশীল তিনকুনিয়া ফরেষ্ট অফিস এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দা চিগোন কালা চাকমার সন্তান জমর কান্তি চাকমা ওরফে মেরাইয়া নামের এক যুবক সামান্য কথা কাটাকাটির জের ধরে ৮৬ বছর বয়সী বৃদ্ধ আব্দুর শুক্কুরকে পা চেপে ধরে গলাটিপে হত্যা করে। এই ঘটনার পরের দিন ২৯শে ফেব্রুয়ারী তারিখে জমর কান্তি চাকমাকে আসামী করে বিলাইছড়ি থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

উক্ত মামলায় মেডিকেল রিপোর্টসহ সকল সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর পর আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার দুপুরে আসামীর উপস্থিতিতে দন্ড বিধি ৩০২ ধারায় আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেছেন রাঙামাটির জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ আহসান তারেক।

এর আগে এই মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই মো: জাহাঙ্গীর আলম কর্তৃক প্রদত্ত চার্জশীটে তিনি উল্লেখ করেন, অত্র মামলার সার্বিক তদন্তে সাক্ষীদের জবানবন্দী সাক্ষ্য-প্রমাণ ও ফরেনসিক মেডিকেল এর ডাক্তার কর্তৃক প্রদত্ত ময়না তদন্তের রিপোর্ট পর্যালোচনায় ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় ও সার্বিক তদন্তে, অত্র মামলার এজাহারনামীয় আসামী জমর কান্তি চাকমা @ মেরাইয়া কর্তৃক ঘটনার বর্নিত তারিখ ও সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিতভাবে ইচ্ছাকৃত ভিকটিম মৃত আব্দুর শুক্কুর’কে প্রকাশ্য দিবালোকে উপযুক্ত সাক্ষীদের সম্মুক্ষে আসামী তার দুই হাত দিয়ে গলা চেপে ধরে, দুই পায়ের হাটু বুকের উপর রেখে চেপে ধরে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে। যাহা পরবর্তীতে আসামী ১৬৪ ধারার জবানবন্দীতে স্বীকার করেছে বলেও চার্জশীটে উল্লেখ করা হয়।

ক্যাটাগরি:
পার্বত্য চট্টগ্রাম