স্থানীয় ইউপি সদস্য মন্টু রঞ্জন চাকমা এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নাজিম উদ্দিন গোলাগুলির ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তারা বলেন, প্রাথমিকভাবে কেউ নিহত হয়েছে কি না, সে বিষয়ে তথ্য মেলেনি।

বিভিন্ন সূত্রের বরাতে জানা যায়, ভোররাতে রাঙামাটি সদর জোনের নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনীর একটি টহল দলের সঙ্গে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের সশস্ত্র সদস্যদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। গোলাগুলিতে সেনাবাহিনীর একজন সদস্য মো. তরিকুজ্জামান খান বাম হাতে গুলিবিদ্ধ হন। তাকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম সিএমএইচে (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।

ঘটনার পর তিন ইউপিডিএফ সদস্যকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। তাদের কাছ থেকে এসএমজির একটি রিসিভার কভার এবং গুলিভর্তি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত আধিকারিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, ইউপিডিএফ (ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য এলাকায় চাঁদাবাজি, অস্ত্রধারী তৎপরতা ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পরিচিত। পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে সেনাবাহিনী।

এ ধরনের সংঘর্ষে পাহাড়ের সাধারণ মানুষ ভীত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। নিরাপত্তা বাহিনী বলছে, অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।