চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন জানান, মশার প্রকোপ না কমা পর্যন্ত বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম চলমান থাকবে। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের বিস্তার ঠেকাতে নগরীতে প্রতিদিন সকাল-বিকেলে মশক নিধনের ওষুধ ছিটানো হচ্ছে এবং এই কার্যক্রম তিনি নিজেই মাঠে নেমে পর্যবেক্ষণ করছেন।
চসিকের এই উদ্যোগের আওতায় আগামী চার মাস নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত লার্ভিসাইড এবং বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ফগিং কার্যক্রম চালানো হবে। মশার লার্ভা ধ্বংসে ব্যবহার করা হবে শিকাগো শহর থেকে আনা বিটিআই (Biological Larvicide) নামক ওষুধ।
আগ্রাবাদ কমার্স কলেজের সামনে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে মশক নিধন কার্যক্রম এবং জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে মেয়র এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে জনগণের সচেতনতা ও অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। বাসাবাড়িতে জমে থাকা পানি, অপচনশীল বর্জ্য এবং খোলা জায়গায় ফেলে রাখা নির্মাণ সামগ্রী যেন মশার প্রজননস্থলে পরিণত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, “মশার প্রজনন রোধে কোথাও ডাবের খোসা, বালতি বা নির্মাণ সামগ্রী উন্মুক্ত রাখা যাবে না। বাসার টব বা বালতিতে দুই-তিন দিন পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। খোলা জায়গায় টব রাখলে সেখানেও লার্ভা জন্মাতে পারে।”
মেয়র আরও জানান, ইতোমধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ সংগ্রহ করা হয়েছে। পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বরসহ ওয়ার্ডভিত্তিক দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নাগরিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এলাকার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক যেকোনো সমস্যায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করুন এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাজ তদারকি করুন। জনগণের সেবক হিসেবে যেন তারা গাফিলতি না করে তা নিশ্চিত করতে হবে।”
সড়ক মেরামত বিষয়ে মেয়র বলেন, টানা দুই মাসের ভারী বর্ষণে নগরীর অনেক সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছয়টি জোনে ভাগ করে প্রতিটি জোনে একজন নির্বাহী প্রকৌশলীর নেতৃত্বে সড়ক মেরামতের কাজ চলছে। অতিবৃষ্টির কারণে কাজের গতি কিছুটা কম থাকলেও নিরলসভাবে কাজ অব্যাহত রয়েছে।
জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা একসময় অভিশাপ ছিল। আমরা এখন ৫০-৬০ শতাংশ সমস্যার সমাধান করেছি। বাকিটুকু সমাধানে খাল খনন, ড্রেন সংস্কার এবং সুইস গেট নির্মাণের কাজ চলছে।”
মেয়র শাহাদাত জানান, ভবিষ্যতে দ্রুত সমস্যা শনাক্তে নালা-নর্দমায় সেন্সর প্রযুক্তি সংযোজনের পরিকল্পনাও রয়েছে। চসিক, সিডিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ওয়াসা এই সকল সেবাদানকারী সংস্থাকে সাথে নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করা হচ্ছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত আরো বলেন, “মশক নিধন কার্যক্রম এবং নগর উন্নয়ন কার্যক্রমে চট্টগ্রামবাসীর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। একসাথে কাজ করলে আমরা একটি ক্লিন, গ্রিন, হেলদি এবং সেফ চট্টগ্রাম গড়ে তুলতে পারব।”
সিটিজি পোস্ট/এইচএস
৭ আগস্ট, ২০২৫
চট্টগ্রাম নগরের দুই নম্বর গেট থেকে অক্সিজেনমুখী গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অতিবৃষ্টির ফলে সৃষ্টি হওয়া পানির ঢলে দেবে গেছে। এতে সড়কের একটি পাশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে এবং দেখা দিয়েছে দীর্ঘ যানজট।বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বায়েজিদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সামশুল আলম।তিনি জানান, “বুধবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় স্টারশিপ ব্রিজ এলাকার সড়কটির...
৬ আগস্ট, ২০২৫
৬ আগস্ট, ২০২৫
৬ আগস্ট, ২০২৫
৬ আগস্ট, ২০২৫
৬ আগস্ট, ২০২৫
৭ আগস্ট, ২০২৫
চট্টগ্রাম নগরের দুই নম্বর গেট থেকে অক্সিজেনমুখী গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অতিবৃষ্টির ফলে সৃষ্টি হওয়া পানির ঢলে দেবে গেছে। এতে সড়কের একটি পাশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে এবং দেখা দিয়েছে দীর্ঘ যানজট।বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বায়েজিদ থানার উপ...