বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বায়েজিদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সামশুল আলম।

তিনি জানান, “বুধবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় স্টারশিপ ব্রিজ এলাকার সড়কটির একটি অংশ দেবে যায়। অক্সিজেনমুখী লেনটি এখন কার্যত অচল। দুর্ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।”

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ছবিতে দেখা যায়, সড়কের একাধিক স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং কিছু জায়গা দেবে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে বাঁশ ও লাল সুতা দিয়ে সতর্কতা চিহ্ন দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে সড়কের অপর পাশ দিয়ে সীমিত আকারে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। তবে সড়ক ধসের ফলে আশপাশে তীব্র যানজট ও ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আবু সালেহ বলেন, “সড়কটি অনেকদিন ধরেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। আমাদের আশঙ্কাই আজ সত্যি হলো। কোনো বড় দুর্ঘটনা না ঘটলে কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে না।”

ওই এলাকার আরেকজন বাসিন্দা, ওবায়দুল হক আসিফ বলেন, “গত বছরও ব্রিজের একপাশ দেবে গিয়েছিল। ফেসবুকে পোস্ট হওয়ার পর সিটি করপোরেশন শুধু টিন দিয়ে ঘিরে দিয়েছিল। পরে নামমাত্র মেরামত করে ইট-বালু ফেলে গর্ত ভরাট করা হয়।”

এদিকে, বুধবার রাত থেকে চট্টগ্রামজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় (সকাল ৯টা পর্যন্ত) চট্টগ্রামে ৮১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

বৃষ্টি সাময়িক কমলেও নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে সকাল থেকে অফিস ও কর্মস্থলগামী মানুষদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে জলাবদ্ধতা কিছুটা কমলেও এখনো গণপরিবহন সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম অঞ্চলে আরও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।