জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’ প্যানেলের আব্দুর রশিদ জিতু। সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী’ প্যানেলের মো. মাজহারুল ইসলাম।

ভিপি পদে জিতু পেয়েছেন তিন হাজার ৩৩৪ ভোট, আর জিএস পদে মাজহার পেয়েছেন তিন হাজার ৯৩০ ভোট।

শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ২৮ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনিরুজ্জামান চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন। তার আগে বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে কমিশনের প্রধান ও সদস্যসচিব সিনেট কক্ষে প্রবেশ করে প্রয়াত এক শিক্ষকের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এরপর ৫টা ১৫ মিনিট থেকে ফল ঘোষণা শুরু হয়। প্রথমে হল সংসদের ফল প্রকাশ করা হয়, পরে কেন্দ্রীয় সংসদের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন কমিশনের সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম।

প্রায় ৩৩ বছর পর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

ভোটের আগের দিন রাতে বাম সংগঠন ও ছাত্রদল অভিযোগ তোলে যে ভোট গণনার মেশিন সরবরাহকারীর মালিক জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন হাতে গণনার সিদ্ধান্ত নেয়। ভোটের দিন বিকেল সাড়ে তিনটায় ছাত্রদল নির্বাচন বর্জন করে। পরে সন্ধ্যায় বামপন্থি আরও চারটি প্যানেলও ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়। মোট আটটি প্যানেলের মধ্যে পাঁচটির ৬৮ জন প্রার্থী সরে দাঁড়ালেও বাকি তিনটি প্যানেলের ১১১ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিভিন্ন হল থেকে ব্যালট বাক্স আনা হয় সিনেট ভবনে। রাত ১০টার পর শুরু হয় গণনা, যা প্রায় ৪০ ঘণ্টা ধরে চলে।

জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ৬ হাজার ১৫ জন এবং ছাত্রী ভোটার ৫ হাজার ৭২৮ জন। ভোট দিয়েছেন ৮ হাজার ৩ জন, যা মোট ভোটের প্রায় ৬৮ শতাংশ। ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে ৯ জন, জিএস পদে ৮ জন, যুগ্ম সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। হল সংসদে লড়েছেন ৪৪৫ প্রার্থী।