দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। এবার মনোনয়ন পত্র বিতরণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে পূর্ণ আমেজ। আগামীকাল রোববার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে মনোনয়ন পত্র নিতে পারবেন প্রার্থীরা।
এর আগে ২৮ আগস্ট তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী আজ (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতের মধ্যে অথবা কাল সকালে চাকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এর আগে ১ সেপ্টেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ২৫ হাজার ৮৬৬ জন শিক্ষার্থী।
তফসিল অনুযায়ী আগামীকাল রোববার থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হবে। মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হবে ১৫ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বিকাল সাড়ে তিনিটা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের অফিস থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে পারবেন প্রার্থীরা। এজন্য কেন্দ্রীয় সংসদের প্রার্থীদের ৩০০ টাকা ফি ও হল সংসদ প্রার্থীদের ২০০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে।
মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই হবে ১৮ সেপ্টেম্বর। প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে ২১ সেপ্টেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৩ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৫ সেপ্টেম্বর। ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণ সমাপ্তির পরপরই ভোট গণনা শুরু হবে।
গঠনতন্ত্র সংশোধন:
চার সহ-সম্পাদকের পদ বাদ দিয়ে চাকসু গঠনতন্ত্রে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ৪ টি পদ। সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সংসদের পদসমূহ হল:
সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক ও সহ-সম্পাদক, সাহিত্য-সংস্কৃতি সম্পাদক ও সহ-সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও সহ-সম্পাদক, সমাজসেবা ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক ও সহ-সম্পাদক, গবেষণা ও উদ্ভাবন সম্পাদক, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক, ছাত্রী কল্যাণ সম্পাদক ও সহ-সম্পাদক (নারী শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত), স্বাস্থ্য সম্পাদক, পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক এবং ৫ জন নির্বাহী সদস্য।
একইভাবে হল সংসদেও আনা হয়েছে সংশোধন।
সংশোধিত পদগুলো হল :
সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, খেলাধুলা সম্পাদক, সাহিত্য-সংস্কৃতি সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক, সমাজসেবা, পরিবেশ ও মানবাধিকার সম্পাদক, বিজ্ঞান, গবেষণা ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক, স্বাস্থ্য সম্পাদক, রিডিংরুম, ডাইনিং ও হল লাইব্রেরি সম্পাদক, যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক এবং ৫ জন নির্বাহী সদস্য।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। ১৯৬৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর প্রথম কেবিনেট অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালে। এরপর ১৯৭১, ১৯৭৩, ১৯৮০, ১৯৯০ সাল মিলে প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে মাত্র পাঁচ বার অনুষ্ঠিত হয় এই নির্বাচন। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবছর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ৩৫ বছর ধরে তা স্থগিত ছিল।
সিটিজি পোস্ট/ এসএইচএস
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বিতর্ক সংগঠন চিটাগং ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি'র (সিইউডিএস) আয়োজনে এবং ইয়ুথ পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন (ইপসা) এর সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হলো "YPSA-CUDS Divisionals 2025"। এতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রানার্স-আপ হয়েছে ফেনী বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবার ও শনিবার (১২ ও ১৩ সেপ্টে...
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বিতর্ক সংগঠন চিটাগং ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি'র (সিইউডিএস) আয়োজনে এবং ইয়ুথ পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন (ইপসা) এর সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হলো "YPSA-CUDS Divisionals 2025"। এতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ...