চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন নতুন মোড় নিয়েছে। 'অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ' ব্যানারে নয়জন শিক্ষার্থী প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ এবং সাত দফা দাবিতে অনশন শুরু করেছেন। এই অনশন আন্দোলনের প্রথম দিনেই তিনজনের শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উদাসীনতা ও দমনমূলক আচরণের অভিযোগ এনেছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি, সম্প্রতি ক্যাম্পাসে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, তা প্রশাসনের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার প্রমাণ।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধ্রুবর রক্তচাপ আশঙ্কাজনকভাবে ৪০-এ নেমে এসেছে, জাকিরের হৃদযন্ত্রের সমস্যা দেখা দিয়েছে এবং সুদর্শন ও সুমাইয়ার রক্তচাপও বিপজ্জনক মাত্রায় ওঠানামা করছে। তাদের এই নাজুক অবস্থা চলমান আন্দোলনের জরুরি সমাধানের প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরেছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে তাদের চিকিৎসার জন্য ডাকলে মেডিকেল কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসতে অস্বীকৃতি জানান এবং বলেন, শিক্ষার্থীদেরকেই তাদের কাছে নিয়ে যেতে হবে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেছেন যে, প্রশাসন তাদের আইডি ও ছবি তুলে নিয়ে হুমকি দিচ্ছে এবং তাদের সন্ত্রাসী বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা নিশ্চিত না করে ক্লাস-পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত এবং আন্দোলনের সময় নিয়োগ বোর্ড বসানোর মতো দমনমূলক কার্যক্রমেরও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, "আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করছি। কিন্তু কিছু শিক্ষার্থী সমস্যা সৃষ্টির চেষ্টা করছে, এবং তারা আমাদের সমর্থন পাবে না।" তার এই মন্তব্যে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ, কারণ তারা মনে করেন প্রশাসন তাদের উদ্বেগ উপেক্ষা করে উল্টো তাদের ওপরই দোষ চাপাচ্ছে। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। 'স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি (স্যাড)' ছাড়াও ছাত্রনেতা সাকিব মাহমুদ রুমে (বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস) এবং নাভেদ খান (জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল), বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) অনশনকারীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ৭ দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে: আহত শিক্ষার্থীদের তালিকা এবং সুচিকিৎসা নিশ্চিতকরণ; অস্থায়ীভাবে বাস্তুচ্যুত শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন এবং ব্যক্তিগত জিনিসপত্র উদ্ধারে সহায়তা; নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের সুস্পষ্ট আশ্বাস; সহিংসতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতা; এলাকাবাসীর ওপর হয়রানি বন্ধ করা; পুনরাবৃত্ত বিরোধ মোকাবিলায় একটি বিশেষ কমিটি গঠন; এবং ক্যাম্পাসের জন্য একটি সার্বজনীন নিরাপত্তা পরিকল্পনা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আরও অভিযোগ, 'চিটাগং ইউনিভার্সিটি জার্নালিস্টস' অ্যাসোসিয়েশন (সিইউজেএ)' প্রশাসনের পক্ষ নিচ্ছে। ফলস্বরূপ, আন্দোলনকারীরা তাদের বক্তব্য ছড়িয়ে দিতে সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিকল্প প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন। এই চলমান সংকট বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার গভীর-মূল সমস্যাগুলো তুলে ধরেছে, যেখানে প্রায়শই রাজনৈতিক এজেন্ডার কাছে শিক্ষার্থীদের কল্যাণ উপেক্ষিত হয়।
সিটিজিপোস্ট/ জেউ
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। এবার মনোনয়ন পত্র বিতরণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে পূর্ণ আমেজ। আগামীকাল রোববার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে মনোনয়ন পত্র নিতে পারবেন প্রার্থীরা। এর আগে ২৮ আগস্ট তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী আজ (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতের মধ্যে অথবা কাল সকা...
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। এবার মনোনয়ন পত্র বিতরণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে পূর্ণ আমেজ। আগামীকাল রোববার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে মনোনয়ন পত্র নিতে পারবেন প্রার্থীরা। এর আগ...