বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।

ইন্টারপোলের রেড নোটিশের আওতায় আনা অপর দুই ভাই হলেন—এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ ও পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ হাসান।

দুদকের উপপরিচালক তাহাসিন মোনাবিল হক আসামিদের বিরুদ্ধে আবেদন দাখিল করেন। আবেদনে বলা হয়, তারা পরস্পরের যোগসাজশে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে এএম ট্রেডিং নামে ভুয়া প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করে জাল নথি ব্যবহার করে। ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ঋণের নামে ১০৪ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৭০৮ টাকা আত্মসাৎ করেন। পরবর্তীতে সাইফুল আলম এ অর্থ এস আলম সুপার এডিবল ওয়েলের স্বার্থে স্থানান্তর বা পুনর্বিন্যাস করে, যা ৩৪০ কোটিতে পৌঁছায়।

এই কর্মকাণ্ড দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪০৯, ১০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ধারা ৪(২) ও ৪(৩)-এর আওতাভুক্ত।

দুদকের আবেদনে আরও বলা হয়, তদন্ত চলাকালীন সময়ে একাধিকবার তাদের আটক করার চেষ্টা করা হলেও আসামিরা বিদেশে অবস্থান করায় গ্রেপ্তার সম্ভব হয়নি। তাই মোহাম্মদ সাইফুল আলম, আবদুস সামাদ ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাসানের বিরুদ্ধে জারিকৃত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

সিটিজিপোস্ট/জাউ