রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর রাকসুর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সেতাউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাকসুর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতিটি হলে ১৫টি করে পদে নির্বাচন হওয়ার কথা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টি ছাত্র হল এবং ছয়টি ছাত্রী হল মিলিয়ে মোট ২৫৫টি পদ রয়েছে। এসব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫৯৭ জন প্রার্থী। তবে ছাত্রী হলগুলোতে প্রার্থীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। ফলে ছাত্রীদের ছয়টি হলে মোট ২৬টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন এবং চারটি পদ ফাঁকা রয়ে গেছে।

ছাত্রী হলগুলোর বিশ্লেষণে দেখা গেছে—মন্নুজান হলে একটি পদে, জুলাই-৩৬ হলে চারটি পদে, তাপসী রাবেয়া হলে তিনটি পদে, বেগম রোকেয়া, রহমতুন্নেসা ও খালেদা জিয়া হলে ছয়টি করে পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া জুলাই-৩৬, বেগম রোকেয়া ও রহমতুন্নেসা হলের কার্যনির্বাহী সদস্য পদে চারটি করে পদ থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন করে প্রার্থী। এতে প্রতিটি হলে একটি করে পদ ফাঁকা রয়েছে। খালেদা জিয়া হলের সহ-বিতর্ক ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক পদেও কোনো প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেননি।

ছেলেদের বিজয়-২৪ হলে তিনজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে যেসব পদ শূন্য রয়েছে, সেগুলো পূরণের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান। তাঁর ভাষায়, “যে পদগুলো ফাঁকা আছে, সেগুলো ছাড়া হল সংসদ চলবে; অন্য কোনোভাবে এগুলো পূরণ করা সম্ভব নয়।”

রাকসুর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী এ বছর মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১ জন। এর মধ্যে ১৭ হাজার ৫৯৬ জন ছাত্র এবং ১১ হাজার ৩০৫ জন ছাত্রী। শতাংশের হিসেবে ছাত্র ভোটার ৬০ দশমিক ৮৯ শতাংশ, আর ছাত্রী ভোটার ৩৯ দশমিক ১১ শতাংশ।

এদিকে রাকসু, হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রচারণা সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। এই প্রচারণা চলবে ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা পর্যন্ত। নির্বাচনী আচরণবিধির নিয়ম কঠোরভাবে মানতে হবে প্রার্থীদের।

সিটিজি পোস্ট /এমসি