আল মাহমুদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন
বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আইন কর্মকর্তা মো. আল মাহমুদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, নারী সহকর্মী ও প্যানেল আইনজীবীকে হয়রানি, মামলার নথি গোপন, সম্মানী আত্মসাৎ, দায়িত্ব পালনে গাফিলতি ও সাংবাদিককে হুমকির মতো নানা অভিযোগ উঠেছে।
সর্বশেষ গেল ২৪ আগস্ট রেলওয়ে আইন দপ্তরের উচ্চমান সহকারী আসমা আক্তারের মহাব্যবস্থাপক বরাবর দায়ের করা এক অভিযোগপত্রের পর আলোচনায় আসেন আইন কর্মকর্তা মো. আল মাহমুদ।
অভিযোগে উচ্চমান সহকারী আসমা আক্তার দাবি করেন, আল মাহমুদ তাকে বসার চেয়ার পর্যন্ত দেননি। এছাড়াও তার প্রয়াত বাবাকে নিয়ে কটূক্তি ও বিভিন্ন সময় অশোভন আচরণ করেছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মামলার নথি আঁটকে রাখা, কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে বদলির হুমকি ও বদলি এবং আইনজীবীদের সম্মানী আত্মসাতেও জড়িত আইন কর্মকর্তা মো. আল মাহমুদ।
২০২৩ সালের ৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাজনীন নাহারের রেলওয়ের ডিজি বরাবর দেওয়া এক লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, মামলার ফাইলিং খরচ চাইলে আল মাহমুদ তার বিলকে অবৈধ আখ্যা দেন এবং নথি গোপন করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, অবৈধ সুবিধা নিতে আল মাহমুদ তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে হয়রানি করেন।
তবে জানতে চাইলে এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আইন কর্মকর্তা মো. আল মাহমুদ।
এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাজনীন নাহার সিটিজি পোস্টকে বলেন, আমি রেলওয়ের ডিজি বরাবর অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাইনি। আইন কর্মকর্তা মো. আল মাহমুদ আমার বিলকে অবৈধ বলে আখ্যা দিয়ে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করেন।
দায়িত্বে গাফিলতি-
শুধু হয়রানি নয়, দায়িত্বে গাফিলতির মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে আইন কর্মকর্তা মো. আল মাহমুদের বিরুদ্ধে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রাম নতুন রেল স্টেশনের কারপার্কিং লীজের মেয়াদ ২০১৯ সালে শেষ হলেও নতুন লিজের টান্ডার আটকাতে মামলা ও আদালতের স্টে অর্ডার নিয়ে আসেন। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও রেলের আইন বিভাগ এই স্টে অর্ডারের বিরুদ্ধে আদালতে কোন আপিল না করায় নতুন রেল স্টেশনের মেয়াদোত্তীর্ণ কারপার্কিং লীজ এখনো রয়ে গেছে তৎকালীন টেন্ডার প্রাপ্ত এস এ কর্পোরেশনের দখলে।
রেল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইন কর্মকর্তা মো. আল মাহমুদের মামলা ও স্টে অর্ডারের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল না করা এবং তার দায়িত্বে এমন অবহেলার কারণে রেলওয়ে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের নথি অনুযায়ী, এস এ কর্পোরেশন একাধিকবার কোনো নোটিশ ছাড়াই একতরফাভাবে লীজ নবায়নের ফি জমা দেন। রেলওয়ে বিষয়টিকে সরাসরি সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন বলে চিহ্নিত করেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের নির্দেশে উন্মুক্ত দরপত্রের প্রক্রিয়া শুরু হলেও প্রশ্ন উঠেছে আইন কর্মকর্তা আল মাহমুদের ভূমিকা নিয়ে।
এদিকে আইন কর্মকর্তা আল মাহমুদের বিরুদ্ধে দেওয়া একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিটিজি পোস্টে "পূর্ব রেলওয়ের আইন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও হয়রানির অভিযোগ" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর আল মাহমুদ সিটিজি পোস্ট প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করারও হুমকি দেন।
এই বিষয়ে সকল কল রেকর্ড, নথি, অভিযোগের কপি ও কথোপকথনের প্রমাণ সিটিজি পোস্ট সম্পাদকীয় টিমের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
সংবাদ প্রকাশের সময় অভিযোগের বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে আল মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ক্ষোভ দেখিয়ে সিটিজি পোস্ট প্রতিবেদককে বলেন, “অভিযোগটা করেছে খুব ভালো করেছে। এখন ডিপার্টমেন্টকে বলেন অ্যাকশন নিতে।”
এ সকল অভিযোগের বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বঞ্চালের মহাব্যবস্থাপক মো. সুবক্তগীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “কর্মকর্তা আল মাহমুদের বিরুদ্ধে আসা সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পর বোঝা যাবে তার বিরুদ্ধে কি অ্যাকশন নেওয়া যায়।”
সিটিজি পোস্ট/এইচএস
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
আসন্ন দুর্গাপূজায় উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বৈঠক করেছেন হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ। এর সাথে প্রধান উপদেষ্টাকে পূজামন্ডপ পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তারা। আজ সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিভিন্ন পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দরা। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "আপ...
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
আসন্ন দুর্গাপূজায় উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বৈঠক করেছেন হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ। এর সাথে প্রধান উপদেষ্টাকে পূজামন্ডপ পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তারা। আজ সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় প্রধান উপদ...