কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষনার একদিন পর এবার তিন দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ডেন্টাল ইউনিটের শিক্ষক-চিকিৎসক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল চারটায় চমেক ডেন্টাল ইউনিট প্রাঙ্গণে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী চিকিৎসক-শিক্ষার্থীরা রোগীদের সাময়িক ভোগান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তাদের তিন দফা দাবি ও ডেন্টাল ইউনিটের বিভিন্ন অসঙ্গতির কথা তুলে ধরেন।
তাদের তিন দফা দাবিগুলো হলো-
১. চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটকে আরও বৃহৎ ও সুগঠিত অবকাঠামোয় পুনর্গঠন করে পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ ঘোষণা করা।
২. ডেন্টাল কলেজের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় একটি জায়গা বরাদ্দ দেওয়া।
৩. বর্তমান অবকাঠামো ও চলমান সমস্যাগুলোর দ্রুত সংস্কার করা।
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী চিকিৎসক ডা. আবরার আল ফয়সাল সিয়াম বলেন, “চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবি আজ থেকে প্রায় এক দশক আগের। চমেকের ডেন্টাল ইউনিটে এ অঞ্চলের দুই কোটি মানুষের দাঁত ও মুখগহ্বরের চিকিৎসা দেওয়া হলেও অবহেলার কারণে ইউনিটটি আজও উন্নয়নবঞ্চিত।”
অন্য এক আন্দোলনকারী চিকিৎসক জানান, বর্তমানে ইউনিটে ৬টি ব্যাচের জন্য শ্রেণিকক্ষ মাত্র ৪টি। নেই মাল্টিমিডিয়া, বোর্ড বা সাউন্ড সিস্টেম। অবকাঠামোগত মানও নিম্ন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা ও রোগীদের উন্নত চিকিৎসা দুটিই ব্যাহত হচ্ছে।
অপর এক চিকিৎসক বলেন, “অবকাঠামোগত দুর্বলতা, যন্ত্রপাতির স্বল্পতা আর জীবাণুমুক্তকরণের সীমাবদ্ধতার কারণে রোগীদের তিন মাস আগে সিরিয়াল দিতে হয়। একই যন্ত্রপাতি একাধিক রোগীর মুখে ব্যবহার করতে হচ্ছে। এমনকি মুখের ক্যান্সার রোগীদের অপারেশনও করতে হয় অন্য বিভাগের থিয়েটার ভাগ করে।”
তারা আরও বলেন, এসব সীমাবদ্ধতা দূর করতে এবং চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ বাস্তবায়নের দাবিতে শিক্ষক, চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। এজন্য তারা কর্মবিরতি, মানববন্ধন, মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচির পর শেষ পর্যন্ত কমপ্লিট শাটডাউনে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
সিটিজি পোস্ট/এইচএস