দীর্ঘদিন ধরে চলা সংঘাতের অবসান ঘটাতে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে সিরিয়া ও ইসরায়েল। মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও সিরিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত টম ব্যারাক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে টম ব্যারাক বলেন, “ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছেন।” এই শান্তি প্রচেষ্টায় প্রতিবেশী তুরস্ক ও জর্ডানও সমর্থন জানিয়েছে বলে জানান তিনি।
টম ব্যারাক এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এক পোস্টে বলেন, “দ্রুজ, বেদুইন, সুন্নিসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের প্রতি আমার আহ্বান, অস্ত্র নামিয়ে রাখুন এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ একটি নতুন, ঐক্যবদ্ধ সিরীয় পরিচয় গড়ে তুলুন।”
বুধবার ইসরায়েল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে সেনাবাহিনীর সদর দফতরসহ বেশ কয়েকটি স্থানে বড় ধরনের বিমান হামলা চালায়। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়, সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চল সুয়েইদায় দ্রুজ ও বেদুইনদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর তারা দ্রুজ জনগোষ্ঠীকে রক্ষায় এই হামলা চালিয়েছে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলের ভেতরেও একটি বড় অংশ দ্রুজ জনগোষ্ঠী বসবাস করে, যারা এই সংঘর্ষে সরাসরি প্রভাবিত হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে সিরিয়ার দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ইসলামপন্থি বাহিনীর নেতৃত্বে ক্ষমতাচ্যুত করেন আহমেদ আল-শারা। এরপর থেকেই ইসরায়েল সিরিয়ার রাজনৈতিক অস্থিরতা কাজে লাগিয়ে দেশটির সামরিক কাঠামো দুর্বল করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করে যে, সিরিয়ার সরকারি বাহিনী সুয়েইদা অঞ্চল থেকে সরে যাচ্ছে। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর স্পষ্ট করেছে, “ইসরায়েল আমাদের মিত্র হলেও দামেস্কে চালানো সাম্প্রতিক বিমান হামলাগুলোর কোনো আনুষ্ঠানিক সমর্থন আমরা দিইনি। কারণ এই হামলা মার্কিন কূটনৈতিক উদ্যোগের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই যুদ্ধবিরতি সিরিয়া ও ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের উত্তেজনার অবসানে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।