ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে আগ্রহী নয় বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর মতে, সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার পর ইসরায়েলের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে হামাস।
গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা চূড়ান্ত ধাপে জিম্মি মুক্তির অপেক্ষায় আছি। আর তারা (হামাস) জানে, সবশেষ বন্দীদের ছাড়া হলে এরপর কী হতে পারে। মূলত সে কারণেই তারা আসলে চুক্তি করতে চায়নি।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘হামাস সত্যিকার অর্থে কোনো চুক্তি করতে চায়নি। আমি মনে করি, তারা মরতে চায়। আর এটা খুব, খুব খারাপ।’ তিনি যুদ্ধবিরতি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার জন্য হামাসকেই দায়ী করেন এবং বলেন, ‘হামাসকে এখন খুঁজে খুঁজে বের করা হবে।’
ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফও হামাসের সদিচ্ছার অভাবের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আলোচনায় নিজেদের সম্পৃক্ততা কমিয়ে ফেলেছে ওয়াশিংটন। আমাদের অভিযোগ, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে হামাস খুব একটা আগ্রহী নয়।’
অন্যদিকে, ইসরায়েলও তাদের আলোচক দল কাতার থেকে ফিরিয়ে নিয়েছে। উল্লেখ্য, যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনা কাতারে চলছিল।
হামাস যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানে বিস্ময় প্রকাশ করেছে। সংগঠনটি জানিয়েছে, তারা চেয়েছিল একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধান হোক এবং কাতার ও মিসর তাদের ‘গঠনমূলক ও ইতিবাচক’ অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির সময় তাঁরা হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের একটি আটকশিবিরে সরিয়ে নেবেন, যেন পরে পুরো গাজা থেকে তাঁদের সরিয়ে ফেলা যায়।
গত কয়েক মাস ধরে গাজায় ৬০ দিনের জন্য যুদ্ধ বন্ধ রাখার আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছিল। প্রস্তাব অনুযায়ী, ১০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল গাজায় হামলা বন্ধ রাখবে। তবে হামাস একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবিতে অনড়।
চলতি মাসের শুরুতে ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির আলোচনা চললেও গাজায় আমাদের কাজ এখনো শেষ হয়নি।’
এদিকে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সসহ ২৮টি দেশ গাজায় ‘এখনই যুদ্ধ থামাতে’ আহ্বান জানিয়েছে। যদিও ইসরায়েলের কর্মকর্তারা বলেছেন, জিম্মিরা মুক্তি পাওয়ার পর তাঁরা আবার যুদ্ধ শুরু করবেন এবং গাজা থেকে সব ফিলিস্তিনিকে সরিয়ে দেবেন।
সিটিজি পোস্ট/ এসএইচএস
২৬ জুলাই, ২০২৫
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের অন্যতম তীর্থস্থান ধর্মস্থলা মন্দিরে গণকবরের অভিযোগে দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এক সাবেক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর বিস্ফোরক বক্তব্যের ভিত্তিতে অভিযোগ উঠেছে, ধর্ষণ ও হত্যার শিকার নারী ও শিশুদের গোপনে কবর দেওয়া হতো মন্দির এলাকায়।শনিবার ইন্ডিয়া টুডে-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মন্দিরের সাবেক পরিচ্ছন্নতাকর্মী দাবি করেছেন, ১৯৯৮ থেকে ২০১...
২৬ জুলাই, ২০২৫
২৬ জুলাই, ২০২৫
২৬ জুলাই, ২০২৫
২৬ জুলাই, ২০২৫
২৫ জুলাই, ২০২৫
২৬ জুলাই, ২০২৫
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের অন্যতম তীর্থস্থান ধর্মস্থলা মন্দিরে গণকবরের অভিযোগে দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এক সাবেক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর বিস্ফোরক বক্তব্যের ভিত্তিতে অভিযোগ উঠেছে, ধর্ষণ ও হত্যার শিকার নারী ও শিশুদের গোপনে কবর দেওয়া হতো মন্দির এলাকায়।শনি...