মধ্যপ্রাচ্যের ঝলমলে শহর দুবাইয়ে সম্প্রতি আয়োজিত "বাংলাদেশ ফল উৎসব ২০২৫" যেন এক টুকরো বাংলাদেশকে তুলে ধরেছিল প্রবাসীদের মাঝে। আবির বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত এই উৎসব শুধু দেশীয় ফলের পরিচিতিই বাড়ায়নি, বরং বাংলাদেশের ফল রফতানিতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। এই উৎসব প্রমাণ করেছে যে, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি ফলের চাহিদা কতটা দ্রুত বাড়ছে, আর এর মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিতে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয়ের পথ তৈরি হচ্ছে।
সরকারি তথ্য বলছে, বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশি ফলের কদর ক্রমেই বাড়ছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যেখানে ০.০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ফল রফতানি হয়েছিল, সেখানে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ০.০৯ মিলিয়ন ডলারে। এই উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেশের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে, যেখানে ১২ লক্ষেরও বেশি বাংলাদেশি বসবাস করেন, সেখানে দেশীয় ফলের চাহিদা আকাশচুম্বী। তবে শুধু প্রবাসী নয়, স্থানীয় আরব এবং অন্যান্য দেশের নাগরিকরাও এখন বাংলাদেশের রসে ভরা ফলের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এটি আমাদের কৃষিখাতের জন্য এক দারুণ খবর।
দুবাইয়ের এই ফল উৎসব ছিল সত্যিকারের এক মিলনমেলা। আবির বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ইয়াকুব সৈনিকের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই উৎসবে হরেক রকম দেশীয় ফলের সম্ভার ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্ম, যারা হয়তো দেশের ফল সম্পর্কে খুব বেশি জানে না, তারা এখানে এসে নিজেদের দেশের বৈচিত্র্যময় ফলের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। অংশগ্রহণকারী সকলের একটাই প্রত্যাশা, প্রতি বছর যেন এমন উৎসবের আয়োজন করা হয়। এই ধরনের উদ্যোগ বিদেশের বাজারে বাংলাদেশের ফলের ব্র্যান্ডিংয়ে দারুণ ভূমিকা রাখছে।
তবে, ফল রফতানির পথটা এখনো মসৃণ নয়, কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েই গেছে। ফল ও সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, গার্মেন্টস পণ্যের রফতানিতে অগ্রাধিকারের কারণে অনেক সময় মৌসুমি ফল রফতানিতে দেরি হয়ে যায়। আর ফল তো পচনশীল! তাই ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, ফলের মৌসুমে যেন দ্রুত রফতানির ব্যবস্থা করা হয়। দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আশীষ কুমার সরকার উল্লেখ করেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মতো প্রতিযোগী দেশগুলোর পণ্যের শুল্ক চার্জ কম হওয়ায় বাংলাদেশি ফল প্রতিযোগিতার মুখে পড়ছে। তবে তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে, এসব সমস্যা সমাধানে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, যদি ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে সপ্তাহে অন্তত দুটি কার্গো ফ্লাইট চালু করা যায়, তাহলে এই সম্ভাবনাময় খাত থেকে বাংলাদেশ প্রচুর রাজস্ব আয় করতে পারবে। পচনশীল ফল দ্রুততম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য কার্গো ফ্লাইটের কোনো বিকল্প নেই। এই পদক্ষেপ শুধু রফতানিই বাড়াবে না, বরং আমাদের কৃষকদেরও তাদের ফসলের ন্যায্য মূল্য পেতে সাহায্য করবে।
বর্তমানে বাংলাদেশের ফল মূলত মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু দেশে রফতানি হচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে আমাদের আম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, পেঁপে, কলা, লটকন ও লেবুর মতো ফলগুলো বেশ জনপ্রিয়। যদি আমরা সঠিক বাজারজাতকরণ, উন্নত প্যাকেজিং এবং সময়োপযোগী পরিবহন ব্যবস্থার দিকে নজর দিতে পারি, তাহলে এই বাজারকে আরও অনেক বড় করা সম্ভব। বাংলাদেশ সরকারের উচিত এই সম্ভাবনাময় খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দেওয়া, যাতে অদূর ভবিষ্যতে ফল রফতানি দেশের অন্যতম প্রধান আয়ের উৎসে পরিণত হতে পারে।
২৫ জুলাই, ২০২৫
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে এই ঘোষণা দেন তিনি।“এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি হলো গাজায় যুদ্ধের অবসান ও সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষা করা।” তিনি ...
২৫ জুলাই, ২০২৫
২৪ জুলাই, ২০২৫
২৪ জুলাই, ২০২৫
২৪ জুলাই, ২০২৫
২৫ জুলাই, ২০২৫
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে এই ঘোষণ...