বাংলাদেশে মার্কিন পণ্য, বিশেষ করে পোশাক খাতে নকল পণ্য উৎপাদনের হার বাড়ছে—এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা বলছে, নকল পণ্যের কারণে মার্কিন শ্রমিক ও বিনিয়োগকারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এর প্রেক্ষিতে, দুই দেশের চলমান শুল্ক আলোচনায় মেধাস্বত্ব অধিকার (আইপিআর) সুরক্ষাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হিসেবে তুলে ধরেছে ওয়াশিংটন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান ও ভবিষ্যৎ বাণিজ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হলেও কিছু বিষয় এখনো অমীমাংসিত রয়েছে। শুল্ক ব্যবস্থায় ‘ন্যায্যতা’ প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ। দুই দেশ আলোচনায় আবার বসছে আগামী মঙ্গলবার।
ঢাকা ও ওয়াশিংটন সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় আন্তর্জাতিক ১৩টি কনভেনশন ও চুক্তিতে বাংলাদেশের স্বাক্ষরের দাবি জানিয়েছে। এর মধ্যে কিছুতে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সদস্য হলেও, বাকিগুলোতে সই এবং সেগুলো অনুযায়ী আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পাশাপাশি মার্কিন পণ্যের মেধাস্বত্ব সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং নকল পণ্য নির্মাণ রোধে আরও ১১টি শর্ত দিয়েছে তারা।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, বাংলাদেশে সহজে নকল পণ্য পাওয়া যায়। মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো জানাচ্ছে, পোশাক, ভোগ্যপণ্য, চলচ্চিত্র, ওষুধ এবং সফটওয়্যার খাতে মেধাস্বত্ব লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। সরকার পর্যাপ্ত গুরুত্ব ও বিনিয়োগ না দেওয়ায় এ সমস্যা আরও জটিল হয়ে উঠছে।
তবে সচেতনতা কিছুটা বাড়ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। আইপিআর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সের প্রচেষ্টায় এ খাতে ইতিবাচক পরিবর্তনের আভাস মিলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দপ্তর ইউএসটিআর-এর ২০২৪ ও ২০২৫ সালের বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী নকল পোশাক প্রস্তুতকারক শীর্ষ পাঁচ দেশের একটি বাংলাদেশ। এছাড়া, দেশে ট্রেডমার্ক নিবন্ধন ও মেধাস্বত্ব সংক্রান্ত কার্যক্রম ধীরগতির, যা সুরক্ষা নিশ্চিতের পথে বড় বাধা।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত টিকফা (বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তি) বৈঠকেও মেধাস্বত্ব সুরক্ষা, উচ্চমাত্রার জালিয়াতি ও সংশ্লিষ্ট আইন হালনাগাদের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
তবে ইতিবাচক দিকও আছে। বাংলাদেশ ধীরে ধীরে বাণিজ্য-সম্পর্কিত মেধাস্বত্ব অধিকারের চুক্তি (ট্রিপস) অনুযায়ী নিজস্ব আইনি কাঠামো গড়ে তুলছে। দেশটি ইতোমধ্যে কপিরাইট আইন (২০২৩), শিল্প নকশা আইন (২০২৩), পেটেন্ট আইন (২০২২), ট্রেডমার্ক আইন (২০০৯) এবং পণ্যের ভৌগোলিক নির্দেশক আইন (২০১৩) হালনাগাদ করেছে। বাংলাদেশ বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থা (WIPO) এবং প্যারিস কনভেনশনের সদস্য।
নকল পণ্য নির্মাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্বে রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, কাস্টমস, মোবাইল কোর্ট, র্যাব, পুলিশ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তবে এসব সংস্থার দক্ষতা ও সম্পদের ঘাটতি থাকায় আইপিআর বিষয়ক অভিযোগে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।
সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নকল পণ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ নতুন নয়। বারবার আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে এ ইস্যুতে উদ্বেগ জানিয়েছে তারা। সফটওয়্যার খাতে ৯৯ শতাংশ পণ্যই নকল হওয়ায় মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষতির বিষয়টিও আলোচনায় উঠে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, বাংলাদেশ যদি এসব সফটওয়্যারের আসল সংস্করণ ব্যবহার করত, তবে তা মার্কিন অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখত। এজন্য মেধাস্বত্ব আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন ও নকল পণ্য নির্মাণে জিরো টলারেন্সের বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে।
সিটিজি পোস্ট/ এসএইচএস
২৬ জুলাই, ২০২৫
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের অন্যতম তীর্থস্থান ধর্মস্থলা মন্দিরে গণকবরের অভিযোগে দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এক সাবেক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর বিস্ফোরক বক্তব্যের ভিত্তিতে অভিযোগ উঠেছে, ধর্ষণ ও হত্যার শিকার নারী ও শিশুদের গোপনে কবর দেওয়া হতো মন্দির এলাকায়।শনিবার ইন্ডিয়া টুডে-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মন্দিরের সাবেক পরিচ্ছন্নতাকর্মী দাবি করেছেন, ১৯৯৮ থেকে ২০১...
২৬ জুলাই, ২০২৫
২৬ জুলাই, ২০২৫
২৬ জুলাই, ২০২৫
২৬ জুলাই, ২০২৫
২৫ জুলাই, ২০২৫
২৬ জুলাই, ২০২৫
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের অন্যতম তীর্থস্থান ধর্মস্থলা মন্দিরে গণকবরের অভিযোগে দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এক সাবেক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর বিস্ফোরক বক্তব্যের ভিত্তিতে অভিযোগ উঠেছে, ধর্ষণ ও হত্যার শিকার নারী ও শিশুদের গোপনে কবর দেওয়া হতো মন্দির এলাকায়।শনি...