বন্দর নগরীর যানজট নিরসনে এক যুগান্তকারী উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। দেশের প্রথম মনোরেল চালু হতে যাচ্ছে এই শহরে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে মাঠ জরিপও। এবার চট্টগ্রামের আকাশে ছুটবে মনোরেল, বদলে যাবে নগরীর চিত্র।
সাড়ে ৫৪ কিলোমিটার দীর্ঘ আধুনিক এ মনোরেল প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা, যার পুরোটাই অর্থায়ন করবে জার্মান ও মিশরের জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি। গত জুনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও ওই দুই বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ নিয়ে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, মনোরেল প্রকল্পের আওতায় তিনটি সম্ভাব্য রুটকে বিবেচনা করা হয়েছে। কালুরঘাট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ২৬.৫ কিলোমিটার, সিটি গেট থেকে শহীদ বশিরুজ্জামান চত্বর পর্যন্ত ১৩.৫ কিলোমিটার এবং অক্সিজেন থেকে ফিরিঙ্গি বাজার পর্যন্ত ১৪.৫ কিলোমিটার এলাকা। পাশাপাশি যাত্রী উঠানামায় নির্মিত হবে ৩২টি স্টেশন।
সড়ক বিশেষজ্ঞদের মতে, মনোরেল দ্রুত, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা, যা স্বল্প জায়গায় নগরীর যানজট কমায়। আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন এই রেল ব্যবস্থায় মেট্রোরেলের তুলনায় ৪০ শতাংশ অর্থ সাশ্রয়ী। মনোরেল এক চাকার ট্রেন হওয়ায় এর জন্য ব্যাপক জায়গার প্রয়োজন হয় না, এটি এক চাকার ওপরই চলে। ফলে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এটি সহজে চলাচল করতে পারে।
যাত্রী ধারণক্ষমতা কম হলেও এটি দ্রুত নির্মাণযোগ্য এবং শহরের যানজট কমাতে বেশ কার্যকর। বর্তমানে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া এবং ভারতের কিছু শহরে মনোরেল সফলভাবে চালু হয়েছে। দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে মনোরেল স্থাপন ও চালু করা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মনোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে ফিল্ড সার্ভে শুরু হয়েছে এবং বহুল প্রতীক্ষিত মনোরেল প্রকল্পকে দ্রুত এগিয়ে নিতে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাইগারপাস চসিক কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ড. শাহাদাত হোসেনের সাথে প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে মনোরেল প্রকল্পের আসন্ন পর্যায়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিশেষ করে, স্থান সনাক্তকরণ, রুট অ্যালাইনমেন্ট যাচাই এবং প্রাথমিক কারিগরি মূল্যায়নের ওপর আলোকপাত করা হয়।
সভায় মেয়র বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরকে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের হাব হিসেবে গড়ে তুলতে হলে যানজট ও পরিবহন সংকটের সমাধান করতে হবে। এজন্য মনোরেল একটি আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব সমাধান।’
মেয়র আরও বলেন, ‘মনোরেল নির্মাণের জন্য আমরা ইতোমধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর করেছি । আজ প্রকল্পের ফিল্ড সার্ভে শুরু হবে। এরপর পূর্ণাঙ্গ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর কাজ শুরু হবে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে প্রকল্পটি সমন্বয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সাদাত তৈয়বকে। বিডাসহ সবগুলো সংস্থার সহযোগিতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।’
সভায় চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের কাছে প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরেন গ্রেটার চিটাগাং ইকোনমিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী এবং আরব কনট্রাকটরস ও ওরাসকম পেনিনসুলা কনসোর্টিয়ামের প্রধান প্রতিনিধি কাউসার আলম চৌধুরী।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, প্রমুখ।
মনোরেল প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বদলে যাবে বন্দরনগরীর গণপরিবহন ব্যবস্থা, যানজট কমে নগর পরিবহনে সূচনা হবে এক নতুন দিগন্তের।
৮ অক্টোবর, ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ইশতেহার ঘোষণা করেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট। ১২ মাসে ৩৩ টি সংস্কারের উদ্যোগের কথা জানিয়েছে প্যানেলটি। বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুর আড়ায়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজিবী চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে ইশতেহার পাঠ করেন প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি। ৩৩ টি ইশত...
৭ অক্টোবর, ২০২৫
৭ অক্টোবর, ২০২৫
৬ অক্টোবর, ২০২৫
৬ অক্টোবর, ২০২৫
৮ অক্টোবর, ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ইশতেহার ঘোষণা করেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট। ১২ মাসে ৩৩ টি সংস্কারের উদ্যোগের কথা জানিয়েছে প্যানেলটি। বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুর আড়ায়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধ...