যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলটিমেটাম নিয়ে রাশিয়ার মধ্যে কোনো উদ্বেগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নিরাপত্তা পরিষদের উপ-প্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ। তিনি বলেন, "ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তিচুক্তি না হলে রুশ রপ্তানি পণ্যের ক্রেতাদের ওপর ১০০ শতাংশ হারে সেকেন্ডারি ট্যারিফ আরোপের হুমকি একধরনের নাটকীয়তা ছাড়া আর কিছুই নয়।"
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলটিমেটাম নিয়ে রাশিয়ার মধ্যে কোনো উদ্বেগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নিরাপত্তা পরিষদের উপ-প্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ। তিনি বলেন, "ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তিচুক্তি না হলে রুশ রপ্তানি পণ্যের ক্রেতাদের ওপর ১০০ শতাংশ হারে সেকেন্ডারি ট্যারিফ আরোপের হুমকি একধরনের নাটকীয়তা ছাড়া আর কিছুই নয়।"
সোমবার ওভাল অফিসে ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এই হুমকি দেন। পাশাপাশি তিনি ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তারও প্রতিশ্রুতি দেন এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে “খুনি না হলেও কঠিন ব্যক্তি” বলে উল্লেখ করেন।
২০২১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পুতিনকে সরাসরি “খুনি” বলেছিলেন। এটি স্মরণ করিয়ে দিয়ে মেদভেদেভ এক্স এ বলেন, “ট্রাম্প ক্রেমলিনকে নাটকীয় এক আলটিমেটাম দিয়েছেন, যা আসলে রাজনৈতিক কৌশল ও অভিনয়ের অংশ।”
রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “ওয়াশিংটনে যেসব বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, তা গুরুত্বপূর্ণ এবং এগুলোর বিশ্লেষণ প্রয়োজন। প্রেসিডেন্ট পুতিন যদি মনে করেন মন্তব্য জরুরি, তাহলে তিনি তা করবেন।” তিনি আরও বলেন, “ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্র যা করছে, ইউক্রেন তা শান্তির বার্তা নয় বরং যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত হিসেবে নিচ্ছে।”
রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানিয়েছেন, “ইউক্রেন সংকটের সমাধানে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পথই রাশিয়ার কাছে অগ্রাধিকারযোগ্য। আমরা কোনো আলটিমেটাম সমর্থন করি না।”
তিনি বলেন, “রাশিয়া এখনও ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছে। কিন্তু ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো ইতিবাচক সাড়া আসেনি।”
রাশিয়ার রপ্তানির বড় একটি অংশ হচ্ছে অপরিশোধিত তেল ও জ্বালানি সম্পদ। ট্রাম্পের সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা এসব খাতে আঘাত হানলেও ক্রেমলিন আত্মবিশ্বাসী যে, বিকল্প বাজার এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে তারা সেই প্রভাব মোকাবিলা করতে পারবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতির অস্থিতিশীল পরিবর্তনের মুখোমুখি হতে পারে, যার প্রভাব পড়বে ইউক্রেন যুদ্ধের গতি-প্রকৃতিতেও। তবে আপাতত রাশিয়া ট্রাম্পের হুমকিকে গুরুত্ব না দিয়ে কূটনৈতিক সমাধানের পথেই অগ্রসর হওয়ার বার্তা দিচ্ছে।