রাউজানে স্কুল শিক্ষার্থীদের চাঁদায় ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের ব্যতিক্রমী বিজ্ঞান মেলা
রাউজান প্রতিনিধি | সিটিজি পোস্ট
প্রকাশিত হয়েছে: ১৪ নভেম্বর, ২০২৫

রাউজানের নোয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে উদ্ভাবনের উৎসব। বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নিজেদের চাঁদা (প্রতি শিক্ষার্থী ২০ টাকা) সংগ্রহ করে এই উৎসবের আয়োজন করেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত উদ্ভাবনী প্রদর্শনীতে বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গ্রুপভিত্তিকভাবে ২৫টি স্টল নিয়ে অংশগ্রহণ করে।

মেলায় কার্বন ডাই-অক্সাইড বিশুদ্ধকরণ, অটোমেটিক স্ট্রিট লাইট, সোলার পাওয়ার ইরিগেশন সিস্টেম, অ্যান্টি-থিফ অ্যালার্ম, বায়ুকলের ছোঁয়ায় স্মার্ট নগরী, জলবিদ্যুৎ, ভূমিকম্প সতর্কতা সংকেত, পানি চক্র, বৃক্ষের কার্যপ্রক্রিয়া, পরিবেশ দূষণ রোধ, ডায়ালাইসিস প্রক্রিয়াসহ নানা উদ্ভাবনী প্রজেক্ট প্রদর্শন করা হয়।
মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিসান বিন মাজেদ। তিনি ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে নিয়ে ফিতা কেটে ও ফানুস উড়িয়ে মেলার সূচনা করেন। উদ্বোধনের পর তিনি প্রতিটি স্টল ঘুরে দেখেন এবং শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী চিন্তাধারা ও উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিব উল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য দেন সহকারী প্রধান শিক্ষক খবির উদ্দিন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার সজল চন্দ্র চন্দ, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মিন্টু বড়ুয়া এবং অভিভাবক সদস্য মো. নূরুল আবছার। সঞ্চালনায় ছিলেন শিক্ষক প্রতিনিধি আইরিন দিলরুবা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ বলেন, নিজ উদ্যোগে শিক্ষার্থীরা যে অসাধারণ আয়োজন করেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। প্রতিটি বিদ্যালয়ে এ ধরনের মেলা ও প্রতিযোগিতা আয়োজন করা উচিত। এতে বিজ্ঞানমনস্ক ও গণিতমনস্ক প্রজন্ম গড়ে উঠবে।
তিনি আরও বলেন, রাউজানের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান ল্যাব রয়েছে এবং এসব ল্যাবের সরঞ্জাম কেনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকার প্রতি অর্থবছরে এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেয়।
প্রধান শিক্ষক মো. হাবিব উল্লাহ বলেন, এই মেলার সমস্ত আয়োজন করেছে শিক্ষার্থীরাই। আমরা শুধু উৎসাহ দিয়েছি। শিক্ষার্থীদের মোবাইল আসক্তি থেকে দূরে রেখে বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তুলতেই এই আয়োজন।
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী বর্ষা দাশ ও তার দল প্রদর্শন করে ডায়ালাইসিস প্রক্রিয়া। বর্ষা বলেন, স্যারদের অনুপ্রেরণায় আমরা এই মেলার আয়োজন করেছি। এখানে সরাসরি অনেক কিছু শিখেছি, যা শুধু বই পড়ে জানা সম্ভব নয়। আমাদের ইচ্ছে, প্রতি মাসে অন্তত একদিন এমন মেলার আয়োজন হোক।
মেলায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখে এবং দলনেতারা তাদের প্রজেক্টের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
সিটিজিপোস্ট/জাউ




