সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন ‘শুভ মহালয়া’। ভোরের আলো ফুটতেই পিতৃপক্ষের সমাপ্তি ঘটিয়ে সূচনা হলো দেবীপক্ষের। চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গাকে আহ্বান জানানো হয়।
মহালয়া উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশের মন্দির ও পূজা মণ্ডপে ঘট স্থাপন, চণ্ডীপাঠ ও বিশেষ পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভক্তদের বিশ্বাস, আজ থেকেই দেবী দুর্গা দশভুজা রূপে মণ্ডপে অধিষ্ঠান শুরু করবেন।
পুরাণ মতে, মহালয়ার দিনেই দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। দেবতাদের দশ অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সিংহবাহিনী সঙ্গে নিয়ে নয় দিনের যুদ্ধে মহিষাসুরকে বধ করেন তিনি। তাই মহালয়া হলো শক্তিরূপিণী দুর্গার আগমনের প্রতীক।
মহালয়ার ভোরে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণও করা হয়। সনাতন বিশ্বাস অনুযায়ী, পিতৃপক্ষে প্রয়াত আত্মারা মর্ত্যে আসেন। তাদের মঙ্গল কামনায় ভক্তরা জল, তিল ও অন্ন উৎসর্গ করেন।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও আজ থেকেই মূলত দুর্গোৎসবের আগমনধ্বনি শোনা যাচ্ছে।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন, সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, রমনা কালী মন্দির, স্বামীবাগ লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রমসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে মহালয়া উপলক্ষে ভোর থেকে বিশেষ পূজার আয়োজন চলছে।