বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। আদালত বলেন, “দুইজন মানুষ মার্ডার হয়ে গেল, কিন্তু তাদের কারা হত্যা করল— কিছুই জানা গেল না। সারাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে এই মামলার দিকে।”

এক পর্যায়ে আদালত টাস্কফোর্স কমিটির পক্ষে উপস্থিত পিবিআই কর্মকর্তা আজিজুল হককে উদ্দেশ করে বলেন, “সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত কত শতাংশ শেষ হয়েছে, আমাদের জানান। আমরা আর সময় দিতে পারবো না। শেষ বারের মতো ৬ মাস সময় দিচ্ছি।”

সাগর-রুনির পরিবারের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির আদালতে বলেন, “এই মামলার তদন্ত দীর্ঘদিনেও শেষ না হওয়ায় আমরা বাইরে মুখ দেখাতে পারছি না। সবাই জানতে চায় তদন্ত কবে শেষ হবে। এই অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই তদন্ত শেষ হওয়া উচিত। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, রাজনৈতিক সরকার এলে তদন্ত আরও পিছিয়ে যেতে পারে।”

এরপর আদালত উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স কমিটিকে আগামী ৬ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

গত বছরের ২৩ অক্টোবর হাইকোর্টের নির্দেশে পিবিআই প্রধানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার নিচে নয় এমন একজন পুলিশ প্রতিনিধি, সিআইডির একজন প্রতিনিধি এবং র‌্যাবের একজন প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এর আগে, গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন এবং ছয় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার আদেশ দেন।

গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর মামলায় নতুন আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব নেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

উল্লেখ্য, সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। দীর্ঘ ১৩ বছর পার হলেও এখনও তাদের হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়নি।

সিটিজিপোস্ট/জাউ