পাবনার রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্পের ক্রয় প্রক্রিয়ায় অস্বাভাবিক ব্যয়ের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের দুই প্রকৌশলী। এর মধ্যে সহকারী প্রকৌশলী মো. রফিকুজ্জামানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কেএম জিল্লুর রহমানকে নিম্নপদে অবনমিত করে বেতন কমানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্পের ২০ ও ১৬ তলা ভবনের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয়ে অস্বাভাবিক ব্যয়ের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে আসবাবপত্র ক্রয় এবং ভবনে মালামাল ওঠানোর কাজে অনিয়মের বিষয়টি প্রমাণিত হয়।
এতে বলা হয়, সহকারী প্রকৌশলী রফিকুজ্জামান দায়িত্ব পালনে অবহেলা করে অস্বাভাবিক ব্যয়ের প্রাক্কলন প্রণয়নে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তাই ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ অনুযায়ী তাকে চাকরি থেকে অপসারণের গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একইভাবে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কেএম জিল্লুর রহমানকেও অস্বাভাবিক ব্যয়ের প্রাক্কলন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সুপারিশে অবহেলার দায়ে ‘নিম্নপদে অবনমিতকরণ’ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর একই প্রকল্পে অনিয়মের ঘটনায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের দুই উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে বাধ্যতামূলক অবসর এবং আরেকজনকে নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিত করার শাস্তি দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পে কেনা একটি বালিশের দাম ধরা হয়েছিল ২৮ হাজার টাকা। এ কারণেই ঘটনাটি সর্বমহলে পরিচিতি পায় ‘বালিশকাণ্ড’ নামে।