গতকাল রোববার গুইমারার রামসু বাজারে জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা অবরোধ চলাকালে বিক্ষোভ সহিংস রূপ নিলে পরিস্থিতি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে অবরোধকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় গুলিতে প্রাণ হারান এই তিনজন। নিহতরা সবাই পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সদস্য। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর এক মেজরসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।

খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ছাবের আহম্মেদ জানান, "রোববার থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত আহত ১৪ জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের লাশও সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।"

পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, "সোমবার সকাল থেকে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে টহল দিচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।"

এদিকে জুম্ম ছাত্র-জনতার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে জানানো হয়, "নিহতদের দাফন ও আহতদের চিকিৎসার সুবিধার্থে দুপুর ১২টা থেকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি ও ঢাকা-খাগড়াছড়ি সড়কে অবরোধ শিথিল করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ শিথিল থাকবে বলে জানায় সংগঠনটি।"

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে এক কিশোরী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন স্বজনেরা। এ ঘটনায় শয়ন শীল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁকে ছয় দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

সিটিজিপোস্ট/ এসএইচএস