রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ১২ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। গত ২৪ ঘণ্টায় এসব অভিযান চালানো হয়।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেনঃ তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান, নোয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম পারভেজ, মিরপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মজিবর রহমান, আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক জিয়াউল হক জিয়া, নবাব কাটরা ইউনিট যুবলীগের সহসভাপতি মো. কলিম, কদমতলী থানার সাবেক শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান উজ্জ্বল, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি রেদওয়ান খান বোরহান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সোহানুর রহমান, অমর একুশে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল গনি কৌশিক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এরশাদুর রহমান রিফাত,চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন পলাশ।
ডিবি সূত্রে জানানো হয়, সোমবার ডিবি সাইবার বিভাগের একটি টিম হাবিবুর রহমান ও জিয়াউল হক জিয়াকে গ্রেপ্তার করে। একইদিন জাহিদুল ইসলাম পারভেজ ও মজিবর রহমানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি রমনা বিভাগ। ডিবি লালবাগ বিভাগ নবাব কাটরার মো. কলিমকে, আর ডিবি ওয়ারী বিভাগ ফতুল্লা এলাকা থেকে হাবিবুর রহমান উজ্জ্বলকে গ্রেপ্তার করে।
এছাড়া মুগদা এলাকা থেকে রেদওয়ান খান বোরহানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি উত্তরা বিভাগ। সোহানুর রহমান, আতাউল গনি কৌশিক, এরশাদুর রহমান রিফাত ও জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করে ডিবি তেজগাঁও বিভাগ।
সিটিটিসির বরাতে, সোমবার রাতে বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকা থেকে ইকবাল হোসেন পলাশকে গ্রেপ্তার করে।
প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তারই অংশ হিসেবে অভিযানে নেমেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
সিটিজি পোস্ট/ এসএইচএস