বন্ধ হচ্ছে অবৈধ মোবাইল সেট, চালু হচ্ছে এনইআইআর সিস্টেম

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
প্রকাশিত হয়েছে: ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেটের ব্যবহার রোধ ও টেলিযোগাযোগ খাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু হচ্ছে ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেম। এ উদ্যোগের ফলে দেশের নেটওয়ার্কে নিবন্ধনবিহীন বা আনঅফিশিয়াল মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিটিআরসির বোর্ডরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তিনি বলেন, “এনইআইআর চালুর মাধ্যমে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। এটি এমন একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা, যা প্রতিটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের আন্তর্জাতিকভাবে অনুমোদিত আইএমইআই নম্বরকে ব্যবহারকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও ব্যবহৃত সিমের সঙ্গে যুক্ত করে নিবন্ধিত করবে। ফলে বৈধ ও অবৈধ হ্যান্ডসেট সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।”
বিশেষ সহকারী আরও জানান, এই ব্যবস্থা চালু হলে অবৈধভাবে আমদানিকৃত বা নকল মোবাইল ফোনের ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হবে। এর ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে এবং দেশীয় মোবাইল উৎপাদন শিল্প আরও সুরক্ষিত হবে।
তিনি বলেন, “চুরি বা অপরাধমূলক কাজে ব্যবহৃত ডিভাইস শনাক্ত ও ব্লক করা সম্ভব হওয়ায় অপরাধ দমনেও এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এনইআইআর শুধু একটি প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নয়; এটি নাগরিকের নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা এবং টেলিযোগাযোগ খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার একটি জাতীয় অঙ্গীকার।”
এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে বিটিআরসির পাশাপাশি দেশের চারটি মোবাইল অপারেটর, গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা, বাংলালিংক এবং টেলিটক বাংলাদেশ নিজস্ব ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (ইআইআর) সিস্টেম উন্নয়নে কাজ করছে বলে জানান তিনি।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও বলেন, “এনইআইআর চালুর ফলে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) জালিয়াতি, সিম প্রতারণা ও স্ক্যাম প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে ইকেওয়াইসি যাচাই আরও শক্তিশালী হবে, টেলিকম খাতে নিরাপত্তা জোরদার হবে এবং রাজস্ব আদায়ও বৃদ্ধি পাবে।”
তিনি উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মী ও বিভিন্ন অপারেটরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, “১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের টেলিকম খাত একটি নতুন, নিরাপদ ও স্বচ্ছ যুগে প্রবেশ করবে। আমি সবাইকে অনুরোধ করছি—এই উদ্যোগ সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করুন এবং বৈধ হ্যান্ডসেট ব্যবহারে উৎসাহিত করুন।”
এ সময় বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারীসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
_(5).jpg%3Fv%3D1761916648725&w=3840&q=75)
.jpg%3Fv%3D1761913997977&w=3840&q=75)
_(2).jpg%3Fv%3D1761911580081&w=3840&q=75)
_(1).jpg%3Fv%3D1761903154226&w=3840&q=75)
