১৫ জুলাই ষোলশহর ছাত্রদের শক্ত প্রতিরোধের মুখে পরাজিত হয়ে পালিয়ে যায় ছাত্রলীগ। পরেরদিন সকাল দশটা থেকে লাঠি, রামদা ও আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আজম রণি ষোলশহর দখলে নেয়। সেদিন শহিদ হন ওয়াসিম , শান্ত ও ওমর ফারুখ।
১৫ জুলাইয়ের ১৯ দিন পর ৩ আগস্ট চট্টগ্রামের হাজার হাজার ছাত্র-জনতার জমায়েত হয়। সেদিন নিউমার্কেট চত্বর জনসমুদ্রে রুপ নেয় আর চারদিকের রাস্তগুলো যেন নদী যেখানে বয়ছে জনস্রোত। অগুণতি মানুষের মুখ থেকে অনবরত ধ্বনিত হচ্ছে স্লোগান। ইনকিলাব জিন্দাবাদ, এক দফা এক দাবি, শেখ হাসিনার পদত্যাগ, বত দিন হায়্যো আর হায়্যো ইত্যাদি স্লোগানে প্রকম্পিত চট্টগ্রামের আকাশ-বাতাস।
তিন আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেওয়া ইমরান বলেন, সেদিন চট্টগ্রামের কেউ ঘরে বসে ছিল না। নারী, পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সবাই রাজপথে নেমে আসে। যারা মিছিলে শামিল হতে পারেনি তারা রাস্তায় এসে মিছিলের আগতদের উৎসাহ দিচ্ছিল। তিনি আরও বলেন, আমি দেখেছি এক মহিলা ঝাঁটা হাতে মিছিল করছে। মিছিলে ফেরার পথে ছাত্রজনতা ফ্যাসিবাদ বিরোধী বিপ্লবের স্লোগান এঁকে দিয়েছিল সারা শহর।"
নিউমার্কেট উপস্থিত আন্দোলনকারীরা এভাবে তাদের অনূভুতি ব্যক্ত করেন যে, গণভবন ঢাকায় না হয়ে চিটাগাং হলে তিন তারিখ আমরা চাঁটগাবাসি গণভবন দখলে নিতাম।
তিন আগস্ট চট্টগ্রামে এতো বেশি ছাত্র-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল যে, জন জোয়ারের মুখে আওয়ামিলীগ ও রাষ্ট্রীয় বাহীনি পিছু হটতে বাধ্য হয়। সেদিন চট্টগ্রামের রাজপথ ছাত্রজনতার দখলে ছিল।
চার তারিখ সকাল ১০টায় নিউমার্কেটে মোড়ে বিক্ষোভের ঘোষণার মাধ্যমে সেদিনের সমাবেশ শেষ করা হয়। সমাবেশ শেষে কয়েকটি মিছিল বের হয়। আন্দোলনকারী আলম বলেন, তিন তারিখ জনসমাবেশ ভেঙে বের হওয়া মিছিলগুলোর শুরু কিংবা শেষ কিছু দেখা যাচ্ছিল না।
সেদিনের জনসমুদ্র দেখে ভয় পেয়ে যায় ফ্যাসিবাদী শক্তি। তারা শেষ মরণ কামড় দেওয়ার জন্য পাগল হয়ে যায়। সেদিন রাতে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, বিএনপির চট্টগ্রাম মহানগর আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও বিএনপি চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেনসহ চার বিএনপি নেতার বাসায় ভাঙচুর চালায়।
এদিকে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার শর্তহীন পদত্যাগ দাবি করে। প্রধান সমন্বয়কারী নাহিদ ইসলাম এক দফা দাবি ঘোষণা করে শেখ হাসিনার সংলাপের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন এবং পুরো মন্ত্রিসভার পদত্যাগ ও হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিও জানান। তারা দেশের সব শ্রেণিপেশার মানুষের সমন্বয়ে একটি জাতীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন এবং ৪ আগস্ট থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। অন্য সমন্বয়কারী আসিফ মাহমুদ সজিব ১৫ দফা ঘোষণা করেন।
এক দফা দাবি এবং প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামের ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে ৪ আগস্ট সকাল ১০টায় নিউমার্কেট মোড়ে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। একইদিন দুপুর ১টায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশনায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নিউমার্কেট চত্বরে এক গণজমায়েতের আয়োজন করে।
পরের দিন চার আগস্ট সকাল ১০টার দিকে নগরীর নন্দনকানন, দেওয়ানহাট, টাইগারপাসসহ বিভিন্ন দিক থেকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা লাঠি, রামদা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নিউমার্কেটের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীসহ শীর্ষ নেতারা মিছিলে নেতৃত্ব দেন।
ইতিমধ্যে আন্দোলনকারীরা নিউমার্কেট মোড়ে অবস্থান নেন। বেলা ১১ টার দিকে আওয়ামী লীগ মিছিল নিয়ে নিউমার্কেট দখলে নিতে চাইলে উভয়পক্ষে সংঘর্ষ বেধে যায়।
আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ছাত্রজনতার উপর সশস্ত্র হামালা চালায়। বেলা দুপুর ১২টার মধ্যেই ২০ জনের অধিক আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে চমেকে ভর্তি হন। সংঘর্ষে বহু আন্দোলনকারী আহত হন। নারী আন্দোলনকারীদের উপর রামদা ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক হামলা চালানো হয়।
চার আগস্টের কর্মসূচি ও আওয়ামী লীগের হামলা সম্পর্কে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের সমন্বয়ক তৌহিদ ইসলাম সাঈদ জানান, ৩ আগস্টের কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করে রাতেই সমন্বয়কদের বৈঠকে ৪ আগস্টের ১ দফা বাস্তবায়নের স্থান ও সময় নির্ধারিত হয়—নিউ মার্কেট, বিকেল ৩টা। তবে আওয়ামী লীগের পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণার খবরে সময় এগিয়ে এনে নির্ধারণ করা হয় সকাল ১০টা।
সকাল গড়িয়ে উঠতেই নিউ মার্কেট জনস্রোতে পরিণত হয়। কর্মসূচি চলাকালে,সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ সিটি কলেজ দিক থেকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশ সম্মিলিতভাবে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়তে শুরু করে। মুহূর্তেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে একদল জুবলি রোড, আরেকদল পুরাতন রেলস্টেশনের দিকে সরে যায়।
জুবলি রোডে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদেরকে ওয়াসাতে নিরাপত্তা দেয় সেনাবাহিনী। তবে মার্কেট ও আশপাশে ছড়িয়ে পড়া অন্যান্য শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ ও পুলিশের নির্মম হামলার শিকার হয়। অনেকে রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে ছুটে যায়, কেউবা রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে।"
নিউমার্কেটে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের হামলায় আহত মাহমুদা তিন্নি বলেন, "৪ আগস্টের স্মৃতি এখনো দুঃস্বপ্ন, ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলার মুখে আমি ও বন্ধু আবির টিয়ারশেলের আঘাতে দিকবিদিক ছুটে যাই। তিনপুল এলাকায় আবিরকে হারিয়ে ফেলি। সেদিন ছাত্রলীগ আগেই অস্ত্রসহ প্রস্তুত ছিল, পুলিশ তাদের সহায়তা করছিল। একটি ছেলেদের মেসে আমরা চারজন মেয়ে ও দুই ছেলে আশ্রয় নিই। বাইরে থেকে এক আঙ্কেল তালা দিয়ে আমাদের রক্ষা করেন। বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগে নেটওয়ার্ক সমস্যায় পড়ি। নিচে গুলি আর চিৎকার শুনতে পাচ্ছিলাম। দুপুরে স্থানীয়দের সহায়তায় বের হই, পথে এক কিশোর ছাত্রলীগ কর্মীর হাতে বন্দুক দেখি। পরে ধাওয়া এড়াতে এক বাসায় সন্ধ্যা পর্যন্ত লুকিয়ে থাকি। রাতে রিকশায় করে বের হয়ে বান্ধবির বাসায় যাই। এরপর বহু রাত ঘুমাতে পারিনি—সব মনে পড়লে এখনো কেঁপে উঠি।"
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক মাহফুজ বলেন, “নিউমার্কেট সেদিন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের গুণ্ডারা অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। শুধু নিউমার্কেট নয়, ফলমুন্ডি, তিন ফুল, টাইগার পাস, দেওয়ানহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। কোতোয়ালি থানার সামনেও আওয়ামী পন্থি আইনজীবীরা আমাদের ভাইদের উপর হামলা চালায়। যারা থানায় আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাদেরও মারধর করা হয়।”
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি সাইফুর রুদ্র খান বলেন, "৪ আগস্ট আমরা ছাত্র-জনতা আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসের মুখোমুখি হবো এটা আমরা জানতাম। কিন্তু জনগণের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রাখছিলাম। দিনশেষ দেখা গেলো আওয়ামী সন্ত্রাসের মুখে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করলো নিউমার্কেট এলাকার হকার্স, ব্যবসায়ী, রিক্সা-সিএনজি-অটো চালকরা। এর ব্যতয় ঘটলে সেদিন চট্টগ্রামেই কয়েকহাজার শহীদ হতো। সন্ত্রাসের মুখে এভাবেই সংগঠিত হয় জনতার গণঅভ্যুত্থান।"
আন্দোলনকারীরা নিউমার্কেট থেকে ছত্রভঙ্গ হয়ে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেন। ওয়াসা মোড়ে ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারীরা মুখোমুখি অবস্থান নেয়। সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে সেখানে সংঘর্ষ হয়নি। ওয়াসার মোড়ে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীদের একজন বর্তমান স্টুডেন্ট এল্যায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি এর আহবায়ক তৌহিদ ইসলাম জানান, "চার আগস্টে ধরেই নিয়েছিলাম, বেঁচে ফিরতে পারবো না। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, পুলিশের নারকীয় তান্ডবের কথা মনে পড়লে এখনো ভয়ে কেঁপে উঠি। নিউমার্কেট থেকে ওয়াশা, ওয়াশা থেকে বহদ্দারহাট; সেদিন চিটাগং যেন হয়ে উঠেছিল একখন্ড ফিলিস্তিন। সেদিন হাছিনার বাহিনীকে মনে হচ্ছিলো জায়নবাদী ইসরাইলী সেনা আর নিজেদের মনে হচ্ছিল নিরস্ত্র ফিলিস্তিনী, যারা মুক্তির স্বপ্নে বুঁদ হয়ে লড়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন।"
ওয়াসার মোড়ে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে সংঘর্ষ এড়ানো গেলেও জামালখান থেকে কাজীর দেউরির দিকে এগিয়ে যাওয়া আন্দোলনকারীদের একটা গ্রুপের সাথে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশের ছুড়া সাউন্ড গ্রেনে আর আর টিয়ারশেল সেদিন অনেকে আহত হন।
সকালে আন্দোলনকারীরা বেকায়দায় থাকলেও দুপুরের পর পরিস্থিতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। ওয়াসা থেকে দীর্ঘ মিছিল বের করে তারা বহদ্দারহাটের দিকে অগ্রসর হয়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে পুনরায় সংঘর্ষ হয়। আন্দোলনকারীদের দাবি, পুলিশ শুধুমাত্র বহদ্দারহাট মোড়েই এক দেড়শ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
চট্টগ্রাম শহর জুড়ে সারাদিন ব্যপক সংঘর্ষ চলে। শতাধিক আন্দোলনকারী এ দিন আহত হয়।অনেকে ঘোরতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহিদ ও আহতদের যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য জসিম উদ্দিন শহীদ মো. হাসান সম্পর্কে বলেন, "লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার টুমচর গ্রামের বাসিন্দা শহীদ মো. হাসান ৪ আগস্ট চট্টগ্রামের টাইগারপাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে ছাত্রলীগের গুলিতে মারাত্মক আহত হন। গুলি লেগে পড়ে গেলে তার মাথায় হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করা হয়, ফলে খুলির একটি অংশ ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে একমাস আইসিইউতে থাকার পর তাকে ঢাকার সিএমএইচ-এ পাঠানো হয়। সেখানে দুই মাসেরও বেশি লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ২৫ নভেম্বর তাকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে পাঠানো হয়। দীর্ঘ চিকিৎসার পর ২৪ মে ২০২৫ সালে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।"
চার তারিখ চট্টগ্রাম মহানগর ছাড়াও চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বাঁধে। চন্দনাইশের দোহাজারিতে, সাতকানিয়ার কেরানি হাট, পটিয়ার থানার মোড়সহ বিভিন্ন পয়েন্টে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় অসংখ্য ছাত্রজনতা আহত ও গুলিবিদ্ধ হন।
৩৫ জুলাই ২০২৫ হয়ে ওঠে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি রক্তাক্ত দিন। সেদিন সারাদেশে অসহযোগ আন্দোলন পালন করেন সাধারণ মানুষ। বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট, যান চলাচল। রাস্তায় নামে ছাত্র-জনতা, আর তাদের দমনে মাঠে নামে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত সন্ত্রাসী বাহিনী।
পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গুলিতে সেদিন সারা দেশে ৯৪ জন আন্দোলনকারী শহিদ হন। আহতের সংখ্যা অসংখ্য। সন্ধ্যার পর জারি করা হয় রাজধানীসহ সব বিভাগীয় শহরে কারফিউ, সাথে তিন দিনের সাধারণ ছুটির ঘোষণা।
প্রথমে ফেসবুক স্ট্যাটাস পরে ভিডিওবার্তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া ৬ তারিখের লং মার্চে ৫ তারিখ হবে ঘোষণা দেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় আসার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে ছাত্র-জনতা।
সন্ধ্যা হতে হতে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন জায়গায় আরও কিছু হামলার খবর পাওয়া যায়।
ইতিমধ্যে ৬ তারিখের ঢাকা অভিমুখে লং মার্চ ৫তারিখ নিয়ে আসা হয়। ছাত্রজনতা এক দীর্ঘ যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
চট্টগ্রামের আন্দোলনকারীরা ঢাকায় যাওয়ার জন্য ব্যাস্ত হয়ে পড়ে। অনেকে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা করে দেয়। চারদিকে পুলিশ, আর্মি, বিজিবি, র্যাবের কড়া পাহাড়া ফাঁকি দিয়ে ছাত্র-জনতা ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে।
৭ আগস্ট, ২০২৫
চট্টগ্রাম নগরের দুই নম্বর গেট থেকে অক্সিজেনমুখী গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অতিবৃষ্টির ফলে সৃষ্টি হওয়া পানির ঢলে দেবে গেছে। এতে সড়কের একটি পাশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে এবং দেখা দিয়েছে দীর্ঘ যানজট।বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বায়েজিদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সামশুল আলম।তিনি জানান, “বুধবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় স্টারশিপ ব্রিজ এলাকার সড়কটির...
৬ আগস্ট, ২০২৫
৬ আগস্ট, ২০২৫
৬ আগস্ট, ২০২৫
৬ আগস্ট, ২০২৫
৬ আগস্ট, ২০২৫
৭ আগস্ট, ২০২৫
চট্টগ্রাম নগরের দুই নম্বর গেট থেকে অক্সিজেনমুখী গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অতিবৃষ্টির ফলে সৃষ্টি হওয়া পানির ঢলে দেবে গেছে। এতে সড়কের একটি পাশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে এবং দেখা দিয়েছে দীর্ঘ যানজট।বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বায়েজিদ থানার উপ...