সাধারণ যাত্রীর জন্য বরাদ্দ থাকা চট্টগ্রাম-ঢাকা মেইল ট্রেনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিন ও প্রথম শ্রেণীর বার্থগুলো (রাতের সীট) বর্তমানে রেলওয়ে কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত সুবিধার হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, সাধারণ যাত্রীরা টাকা দিয়েও কেবিন-সীট পান না, অথচ সরকারি কার্ড পাস ব্যবহার করে এসব কেবিন নিয়মিত দখল করছেন রেল কর্মকর্তারা।
সাধারণ যাত্রীদের জন্য একটি নন-এসি কেবিনের সীটের ভাড়া ৯৮২ টাকা, এসি বার্থের ভাড়া ১,৪৪৮ টাকা। কিন্তু কর্মকর্তাদের কার্ড পাসে দখলের কারণে এই আসনগুলো সাধারণ যাত্রীদের জন্য বন্ধ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কোন দাপ্তরিক কাজ না থাকলেও চট্টগ্রাম-ঢাকা মেইল ট্রেনে ২৪টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এসি সীট/বার্থ আসনের মধ্যে ১৪টি কার্ড পাস সহ ১৬ টি পাস ব্যবহার করেছেন রেল কর্মকর্তারা। টাকা দিয়ে টিকিট কেনার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ৬ জন যাত্রী। অর্থাৎ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিনের ৭৫ শতাংশ সিট কার্ড পাসধারী কর্মকর্তাদের দখলে।
এছাড়াও ৪৮টি নন এসি প্রথম বার্থ/সীটের মধ্যে রেলওয়ে কর্মকর্তাদের কার্ড ও পিপি পাসে বুকিং হয় ২৭টি। যার অধিকাংশ পিপি পাসের নাম্বারই নেই।
এক দিনেই রেলওয়ে কর্মকর্তাদের পাসে মোট ৪৩টি আসন বুকিং হয় ৪৩টি কার্ড ও পিপি পাসে।
এদিকে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দাপ্তরিক কাজ না থাকার পরও রেল কর্মকর্তারা ১৫টি সরকারি কার্ড পাস ব্যবহার করেছেন ব্যক্তিগত যাত্রায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রেলকর্মী জানান, ঢাকা মেইলে নামে-বেনামে কার্ড পাস ব্যবহার হয়। যাত্রীর বদলে অন্যরা ভ্রমণ করে। গার্ডরা চাইলে রিপোর্ট করতে পারতেন, কিন্তু কর্মকর্তাদের ভয়ে নীরব থাকেন।
রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, জরুরি প্রয়োজনে সর্বাধিক ২০ শতাংশ আসন ব্যবহার করা যেতে পারে।
তবে এইভাবে ৭৫ শতাংশ সিট কার্ড পাসে চলে যাওয়ায় রেলওয়ে প্রতিটি ট্রিপে হারাচ্ছে লাখ টাকার রাজস্ব।
সম্প্রতি স্বচ্ছ রেলব্যবস্থা নিয়ে কাজ করা মোহাম্মদ হোসেনের ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি প্রকাশ পায়।
রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক (পূর্ব) দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, কার্ড পাস ব্যবহার করতে হলে অফিস থেকে অনুমোদনের চিঠি আসা প্রয়োজন।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের উদাহরণ টেনে একজন সাধারণ যাত্রী প্রশ্ন তুলেন, যেখানে উপহার পাওয়া জিনিসও সঠিকভাবে জমা দেওয়া হয়, সেখানে কেন রেলের কর্মকর্তারা রাষ্ট্রীয় সুবিধা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন?
এ ব্যাপারে জানতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক মো. মাহবুবুর রহমান ও বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তৌষিয়া আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে একজন নিয়মিত যাত্রী আহম্মেদ বলেন, অনলাইন আর জবাবদিহিতা না থাকায় রেলের লোকেরা নিজেদের সুবিধামতো আসন ব্লক করে রাখে। এতে সাধারণ যাত্রীরা বঞ্চিত হন।
এ ব্যাপারে রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন জানান, কার্ড পাসের অপব্যবহার হচ্ছে। ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড (OTP) সিস্টেম চালু করলে অন্যের নামে কার্ড পাস ব্যবহার বন্ধ হবে। এ বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদাসীনতা জনস্বার্থের ক্ষতি করছে। সাধারণ যাত্রীরা নিজেদের পকেটের টাকা দিয়েও রেলের এসি কেবিন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাথে রেল হারাচ্ছে লাখ টাকার রাজস্ব।
সিটিজিপোস্ট/এমএইচডি
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
বিসিবি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান প্রার্থী তামিম ইকবাল অভিযোগ করেছেন, সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে বিসিবি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চলছে। তবে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া উল্টো দাবি করেছেন, সরকার কোনোভাবেই হস্তক্ষেপ করছে না, বরং তামিমকে সামনে রেখে একটি পক্ষ সুবিধা আদায়ের জন্...
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
বিসিবি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান প্রার্থী তামিম ইকবাল অভিযোগ করেছেন, সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে বিসিবি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চলছে। তবে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া উল্ট...