ঢাকার ফারস হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তামিম সরাসরি নাম না উল্লেখ করলেও ইঙ্গিত দেন আসিফ মাহমুদের দিকেই। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ চিঠির মাধ্যমে বিসিবির নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।’’

এ অভিযোগের জবাবে রাতে যমুনা টেলিভিশনের সাথে এক সাক্ষাৎকারে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘‘সরকারের রুটিন কার্যক্রমকে হস্তক্ষেপ বলা যায় না।’’ তাঁর ভাষায়, “আমাদের অধীনস্থ যে কারও সাথে আমি কথা বলতেই পারি, সচিবও কথা বলতে পারেন। এটা সরকারের নিয়মিত কার্যক্রম, অবৈধ হস্তক্ষেপ নয়। যদি এখতিয়ারের বাইরে কিছু করা হয়, তখনই আইনি ব্যবস্থা বা আইসিসিকে জানানোর বিষয় আসতে পারে।”

তিনি উল্টো অভিযোগ করে বলেন, ‘‘তামিমকে সামনে রেখে একটি পক্ষ ভয়ভীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।’’ তাঁর দাবি, “তামিম ভাইয়ের পক্ষের লোকজন গিয়ে ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ দখল করতে মানুষজনকে অপহরণ করছে। বুলবুল ভাইকে ফোন দিয়ে বলা হয়েছে, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান, আপনাকে সিইও বানানো হবে। এগুলো স্পষ্ট সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।”

এছাড়া তিনি অভিযোগ করেন, মন্ত্রণালয় নয় বরং রাজনৈতিক দলগুলো প্রভাব বিস্তার করছে। আসিফ মাহমুদের ভাষায়, “অনেক জায়গায় ডিসিদের রাজনৈতিক দলের নেতারা কল দিয়েছেন। বড় বড় নেতারা ফোন দিয়ে বলেছেন কাউন্সিলর পাঠাতে হবে। এটিই অবৈধ হস্তক্ষেপ এবং পলিটিসাইজেশন।”

তামিমকে ভালো ক্রিকেটার হিসেবে উল্লেখ করে আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, “বাংলাদেশের ফ্যানদের প্রতিনিধি হয়ে যদি তিনি নির্বাচন করতেন, আমি খুশি হতাম। কিন্তু তিনি একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে আসায় আমি দুঃখিত।”

তিনি পরিষ্কার করে জানান, ‘‘নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হোক সেটাই তাঁর একমাত্র চাওয়া।’’’

সিটিজি পোস্ট /এমসি