‘ছাত্রী মোটা না চিকন’ ইমোতে দেখতে চাওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বরখাস্ত

সিটিজি পোস্ট প্রতিবেদক

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ৫/৭/২০২৫, ৬:৫৭:৪২ PM

‘ছাত্রী মোটা না চিকন’ ইমোতে দেখতে চাওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বরখাস্ত

ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আজিজুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আনা অভিযোগ তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার (৫ জুলাই) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক সই করা পৃথক অফিস আদেশ থেকে এসব তথ্য জানা যায়।


বরখাস্ত সংক্রান্ত অফিস আদেশে বলা হয়, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগের শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অশ্লীল আচরণ, ক্লাস রুমে পোশাক ও শারীরিক গঠন নিয়ে কুরুচিপূর্ণ অশ্লীল মন্তব্য, হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার, ইমোর মাধ্যমে ভিডিও কলে নানাবিধ আপত্তিকর কথা বার্তা ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ জানিয়ে আবেদন করেছে। এ সংক্রান্ত সংবাদ বেশ কয়েকটি জাতীয়-স্থানীয় পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে বিধায় তাকে সহযোগী অধ্যাপক পদের চাকরি থেকে ৫ জুলাই হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

তদন্ত কমিটি সংক্রান্ত অফিস আদেশে জানানো হয়, আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্তপূর্বক রিপোর্ট পেশ করার জন্য উপাচার্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত কমিটিতে আল-ফিকহ অ্যান্ড ল’ বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজিমুদ্দিনকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। সদস্য হিসেবে রয়েছেন লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. খোন্দকার আরিফা আক্তার ও আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাকসুদা আক্তার। কমিটিকে আগামী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. নাজিমুদ্দিন বলেন, অফিস থেকে আমি চিঠি পেয়েছি। তদন্ত একটি আইনি প্রক্রিয়ার অংশ। আশা করি সঠিকভাবে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো।

আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের হোয়াটসঅ্যাপে কুরুচিপূর্ণ মেসেজ প্রদান, ভিডিও কলে অপ্রাসঙ্গিক ও অশালীন কথা বলা, রুমে ডেকে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন নিয়ে আপত্তিকর জিজ্ঞাসা, ক্লাসে সবার সামনে বিভিন্নভাবে আজেবাজে ইঙ্গিত, বিবাহিত ছাত্রীদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, নিজের আন্ডারে প্রজেক্ট করতে পছন্দের ছাত্রীদের বাধ্য করা, বডি শেমিং, কথা মতো না চললে ইচ্ছাকৃতভাবে পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে দেওয়া ও কোর্সে ফেল করানোর অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

এসব অভিযোগ এনে গত ২২ জুন বিভাগের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ছাত্রীরা। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গত ২৮ জুন অভিযুক্ত শিক্ষককে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিভাগের সকল কার্যক্রম থেকে তাকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এই শাস্তিতে সন্তুষ্ট না হওয়ায় তার স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে গত ২ জুলাই উপাচার্য বরাবর অভিযোগ দেন।

ক্যাটাগরি:
চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম ক্যাটাগরি থেকে আরো

আশুরা উপলক্ষে শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিল, 'হায় হোসাইন' ধ্বনিতে মুখরিত বন্দরনগরী

আশুরা উপলক্ষে শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিল, 'হায় হোসাইন' ধ্বনিতে মুখরিত বন্দরনগরী

৬ জুলাই, ২০২৫

প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র আশুরা উপলক্ষে চট্টগ্রামে শিয়া সম্প্রদায় এক বিশাল মার্সিয়া মিছিল (তাজিয়া মিছিল) বের করেছে। রোববার (৬ জুলাই) সকালে নগরীর সদরঘাটের ইমামবাড়া থেকে শুরু হওয়া এই শোকমিছিল 'হায় হোসাইন, হায় হোসাইন' ধ্বনিতে চারদিকে এক শোকাবহ আবহের ...