বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা থেকে শুরু হওয়া এই বৈঠক ডরচেস্টার হোটেলে চলে বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি জানান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, বৈঠকে তারেক রহমান নির্বাচন বিষয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও মনে করেন, রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা দেশের জন্য ভালো হবে।”

প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বলেন, "আমি পূর্বেই ঘোষণা দিয়েছি যে, আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। সব ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং বিচারের প্রক্রিয়ায় পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জিত হলে, ২০২৬ সালের রমজান শুরুর আগেই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব।”

তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার এই অবস্থানকে স্বাগত জানান এবং দলের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানান। অন্যদিকে প্রধান উপদেষ্টাও তারেক রহমানকে ফলপ্রসূ আলোচনা ও রাজনৈতিক ইতিবাচক বার্তা বিনিময়ের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।

২০২৪ সালের আগস্টের গণ-আন্দোলন এবং ক্ষমতার পালাবদলের পর এটি ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের প্রথম সরাসরি বৈঠক। এই বৈঠকে নির্বাচনের সময়, কাঠামো, বিচার সংস্কার এবং রাজনৈতিক সমঝোতা ইস্যুগুলো সামনে উঠে এসেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।