ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের’ অংশ হিসেবে এসব মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। মোট ব্যয় প্রায় ৪০ কোটি টাকা।

রাউজান মসজিদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, “সরকার ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এই মসজিদ নির্মাণ করেছে। এখন এটিকে সচল ও আবাদ রাখা এলাকার মানুষের দায়িত্ব। মসজিদভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে, যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের মাধ্যমে সমাজে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হবে।”

তিনি জানান, “চলতি বছরের হজ ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বিমানবন্দর ও সৌদি আরবে হাজিদের কোনো বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি। কাবার কাছে সাশ্রয়ী খরচে আবাসনের ব্যবস্থা করায় কিছু অর্থ জমাও রয়েছে, যা হাজিদের ফেরত দেওয়া হবে।”

তিনতলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদ কমপ্লেক্সে রয়েছে একসঙ্গে ১,২০০ মুসল্লির নামাজের ব্যবস্থা, নারীদের আলাদা নামাজের জায়গা, ইসলামিক গবেষণা কেন্দ্র, গণশিক্ষা, হজ বুকিং কাউন্টার, অটিজম কর্নার, ইমাম ও মুয়াজ্জিনের থাকার জায়গা, ইসলামিক লাইব্রেরি, কনফারেন্স রুমসহ আধুনিক নানা সুবিধা।

অনুষ্ঠানে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আ. আউয়াল হাওলাদার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খান এবং প্রকল্প পরিচালক মো. শহীদুল আলম বক্তব্য রাখেন। জুমার খুতবা প্রদান ও নামাজে ইমামতি করেন হাটহাজারী বড় মাদ্রাসার প্রধান মুফতি মো. জসীম উদ্দিন।

সকালে উপদেষ্টা হাটহাজারী পৌরসভায় আরও একটি মডেল মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও মোনাজাতে অংশ নেন। সেখানে মোনাজাত পরিচালনা করেন আল্লামা শেখ আহমদ। উপস্থিত ছিলেন হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা খলিল আহমদ কাসেমী এবং অন্যান্য স্থানীয় ধর্মীয় ও সরকারি কর্মকর্তারা।