বেলা ১১টায় শুরু হওয়া এ সভায় এলডিসি উত্তরণের প্রক্রিয়ায় ১৬টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে চারটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), তিনটি শিল্প মন্ত্রণালয়, দুটি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), তিনটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাকি চারটি বাস্তবায়নে কাজ করছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।

সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান জানান, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (NSW) পূর্ণ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৯টি সরকারি সংস্থা এতে যুক্ত হয়েছে এবং আরও সংস্থা অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরও জানান, ট্যারিফ পলিসি ২০২৩ বাস্তবায়নে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়েছে।

এছাড়া সভায় তৈরি পোশাক শিল্পের মতো অন্যান্য রপ্তানি খাতকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও প্রণোদনা প্রদান, ম্যান মেইড ফাইবার ও সংশ্লিষ্ট মেশিনারিজ আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়।

চামড়া শিল্প নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “দেশের চামড়া শিল্পের ব্যাপারে আমরা অপরাধ করেছি, এটার সঠিক মূল্যায়ন করিনি। এই শিল্প দিয়ে আমাদের লাভবান হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু হয়নি।” তিনি এই শিল্পের সংকট সমাধানে পৃথক বৈঠকের নির্দেশ দেন।

এছাড়া সাভারে টানারি ভিলেজের ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি) পূর্ণমাত্রায় চালু, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় এপিআই পার্ক বাস্তবায়ন, এবং ২০২২ সালের শিল্প নীতি হালনাগাদকরণে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কেও আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের নিজেদের অর্থনীতির স্বার্থে এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন জরুরি। যেসব নীতিমালা বা আইন কাজে আসছে না, সেগুলো পরিবর্তন করে নতুন পথ বের করতে হবে। এগুলো মৌলিক বিষয়। আমাদের উত্তরণের জন্য এ কাজগুলো করতে হবে।”

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা।

সিটিজি পোস্ট/ এসএইচএস