শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কায়কোবাদ চৌধুরী জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এসময় তার দুই সহযোগী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।

নিহত আলমগীর আলম, স্থানীয়ভাবে ডাকাত আলম নামে পরিচিত, রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরী বাড়ির আব্দুর রহিম প্রকাশ সাত্তারের ছেলে।’’

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘‘চারাবটতল রশিদাপাড়া সংযোগ সড়ক দিয়ে আসার পথে কায়কোবাদ আহমেদ জামে মসজিদের পাশে কবরস্থানের কাছে ওৎপেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তার গতিরোধ করে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই আলমগীর নিহত হন।’’

নিহতের ছেলে আশফায়েত হোসেন (২৩) জানান, “আমরা ফুফুর বাড়িতে দাওয়াতে গিয়েছিলাম। পথে এই হামলা হয়।”

রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, ‘‘কারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তা নিয়ে তদন্ত চলছে।‘প্রতিপক্ষের গুলিতে আলম নিহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সম্ভাব্য প্রতিপক্ষকে মাথায় রেখে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।’’

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ‘‘নিহত আলমের বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি ও অস্ত্র আইনের একাধিক মামলা রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’’

এদিকে, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য গোলাম আকবর খন্দকার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যুবদল নেতা মো. আলমগীর আলমের হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।