দেশের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দুরবস্থার চিত্র তুলে ধরে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “ভালো প্রতিষ্ঠান নেই বললেই চলে। আইনের ব্যত্যয় তো হয়েছেই, প্রক্রিয়াগুলোও ধ্বংস করা হয়েছে। আর মানুষগুলো তো রয়েই গেছে তাদের কোনো পরিবর্তন হয়নি। অনেকেই বলেন, সব বাদ দিয়ে দাও, কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। এ কারণে মাথায় হাত বুলিয়ে, আবার কখনো ধমক দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে।”
শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমানের লেখা বই ‘অর্থনীতি, শাসন ও ক্ষমতা: যাপিত জীবনের আলেখ্য’–এর প্রকাশনা ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, “সুশাসন খুবই কঠিন বিষয়। প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের কার্যকর ‘চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স’ নেই। এই জায়গায় সংস্কার না হলে যত সংস্কারই করা হোক, তাতে কোনো লাভ হবে না। এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরেও সংস্কার দরকার।”
ব্যাংক খাতের সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গত বছরের আগস্টে যখন এই সরকার দায়িত্ব নেয়, তখন দেখা গেছে এমন অবস্থা পৃথিবীর কোথাও নেই। দেশের অর্থনীতি মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। ব্যাংক খাতের ৮০ শতাংশ অর্থই চলে গেছে। আইএমএফ বলছে, বাংলাদেশের ব্যাংক খাত পুনর্গঠনে ৩৫ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে। যদিও শুরুতে তারা ১৮ বিলিয়ন ডলার হিসাব করেছিল।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বইটির লেখক হোসেন জিল্লুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “দেশে কোথাও কোনো সুশাসন বা নিয়ন্ত্রণ নেই। পুলিশেও কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আসেনি। একজন ব্যবসায়ী বললেন, আগে এক লাখ টাকা ঘুষ দিতাম, এখন দিতে হয় পাঁচ লাখ টাকা।”
তিনি বলেন, “রাতারাতি সংস্কার সম্ভব নয়। এর জন্য সময় দরকার। কিন্তু গণতান্ত্রিক চর্চা বাদ দিয়ে বসে থাকা যাবে না। কিছু চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। তাই কোনো বিলম্ব না করে দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যেতে হবে। জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদে পাঠিয়ে সংস্কার করতে হবে।”
ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির প্রভাব নিয়ে তিনি বলেন, “ট্রাম্পের ট্যারিফ সামনে বাংলাদেশের জন্য বড় বিপদের কারণ হতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, রাজনৈতিক দলগুলো সবসময় জনস্বার্থে দেশের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।”
সিটিজি পোস্ট/ এসএইচএস
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণের জন্য ঢাকা-কক্সবাজার ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ৪ জোড়া ‘পূজা স্পেশাল’ ট্রেন চালু করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত বিরতিহীন এ ট্রেনগুলো চলবে।রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, পূজার সরকারি ছুটি থাকছে ১ ও ২ অক্টোবর। এরপর ৩ ও ৪ অক্টোবরের সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা চারদিন বন্ধে বাড়ি ফেরা ও ভ্রমণ...
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণের জন্য ঢাকা-কক্সবাজার ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ৪ জোড়া ‘পূজা স্পেশাল’ ট্রেন চালু করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত বিরতিহীন এ ট্রেনগুলো চলবে।রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, পূজার সরকারি ছুটি...