তামিলনাড়ুর ভেলোর শহরের মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী মো. আকবর বলেন, “এখানকার ব্যবসায়ীদের প্রধান লক্ষ্য থাকে বাংলাদেশি ক্রেতা। তাদের ওপর নির্ভর করেই সবকিছু। এখন ব্যবসা প্রায় নেই বললেই চলে।” একই অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন আরও অনেক দোকানি ও হোটেল মালিক।
ভেলোর শহরের প্রাণকেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আছে খ্রিস্টিয়ান মেডিকেল কলেজ (সিএমসি) হাসপাতাল। শতাধিক বছর ধরে চিকিৎসা সেবার জন্য খ্যাত এই হাসপাতালকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে হোটেল-লজ, মানি এক্সচেঞ্জ, ভ্রমণ এজেন্সি, পরিবহনসহ নানা ব্যবসা। প্রতিদিন হাজার হাজার বিদেশি রোগী এখানে চিকিৎসা নিতে আসলেও বাংলাদেশিদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে গেছে।
একই চিত্র দেখা যাচ্ছে প্রায় ১৭শ কিলোমিটার দূরের কলকাতায়। ‘মিনি বাংলাদেশ’ খ্যাত নিউ মার্কেট, বড় বাজার ও আশপাশের এলাকায় বাংলাদেশি পর্যটকের ভিড় ছিল স্থায়ী চিত্র। কিন্তু ভিসা জটিলতার কারণে এখন হোটেল-লজ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, পরিবহন কমে এসেছে, বাজারে মন্দা বিরাজ করছে।
কলকাতা-বাংলাদেশ বাস সার্ভিসের অনিল দাশ বলেন, আগে প্রতিদিন একাধিক কোম্পানি বাস চালাতো, এখন সব মিলে দিনে একটি মাত্র বাস চলছে। নিউ মার্কেট এলাকায় হোটেল কর্মচারী হুমায়ুন কবীর বলেন, ছোট ছোট হোটেল-লজ বন্ধ হয়ে গেছে।
ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী খান জানান, শুধু নিউ মার্কেট ও বুররাবাজারেই বছরে ৫ হাজার কোটি রুপির ক্ষতি হয়েছে।
আল জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ বিদেশি রোগী ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন, এর ৬০ শতাংশই বাংলাদেশি। কিন্তু গত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান ও সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা ৮০ শতাংশ কমে গেছে।