সোমবার দুপুরে জামালপুর শহরের ফৌজদারী মোড়ে “দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা” কর্মসূচির সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “অবশ্যই আমরা নির্বাচন চাই, আমরা ভোটাধিকার চাই, আমরা মানুষের মতো প্রকাশ নিশ্চিত করতে চাই।”

নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, “বাংলাদেশের রাজনীতির বিভিন্ন দলে একটি চাঁদাবাজির অর্থনীতি গড়ে উঠেছে। সেই অর্থনীতির ভেতরে দুঃখজনক হলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন নেতাকর্মীকে জড়িয়ে ফেলা হয়েছে। কেউ কেউ এনসিপি কিংবা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করছে। আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছি—চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম, তা আমরা আমাদের ঘর থেকেই শুরু করব। এই কারণেই এনসিপি ঘোষণার পরপরই আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি বিলুপ্তির আহ্বান জানিয়েছিলাম।”

তিনি আরও দাবি করেন, “গত ১৭ বছর ধরে জামালপুরে কেউ স্বাধীনভাবে রাজনীতি করতে পারেননি। রাজনীতি ছিল এক গডফাদারের হাতে জিম্মি। এনসিপির মাধ্যমে আমরা সেই জিম্মিদশা থেকে জনগণকে মুক্ত করেছি। এখন আপনারা এনসিপির রাজনীতিকে সমর্থন দিন, দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে আসুন।”

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা লুৎফর রহমান, ডা. তাসনিম জারা, নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারীসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

এর আগে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে শহরের তমালতলা থেকে একটি পদযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফৌজদারী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পদযাত্রায় এনসিপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

সিটিজি পোস্ট/ এসএইচএস