বিমানটি কুর্মিটোলার বিমানঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়।

অতীতের উল্লেখযোগ্য দুর্ঘটনাগুলো:

১. ১৩ মার্চ ২০২৫ – যশোর:

গ্রোব-১২০টিপি প্রশিক্ষণ বিমান যশোরে জরুরি অবতরণের সময় দুর্ঘটনায় পড়ে। দুজন পাইলট অক্ষত থাকেন।

২. ৯ মে ২০২৪ – চট্টগ্রাম:

ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয় কর্ণফুলী নদীতে। কো-পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ মৃত্যুবরণ করেন।

৩. ১৫ অক্টোবর ২০২৩ – বগুড়া:

পিটি-৬ প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় পতিত হয়; পাইলটরা নিরাপদে অবতরণ করেন।

৪. নভেম্বর ২০১৮ – মধুপুর, টাঙ্গাইল:

এফ-৭ বিজি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে উইং কমান্ডার আরিফ আহমেদ দিপু নিহত হন।

৫. জুন ২০১৫ – চট্টগ্রাম সাগর উপকূল:

এফ-৭ এমবি মডেলের যুদ্ধবিমান বঙ্গোপসাগরে বিধ্বস্ত হয়; পাইলট তাহমিদ রুম্মান নিখোঁজ।

৬. ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ – যশোর:

পিটি-৬ প্রশিক্ষণ বিমান ধানক্ষেতে জরুরি অবতরণ করে; পাইলট অক্ষত।

৭. ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ – পতেঙ্গা:

একটি যুদ্ধবিমান কর্ণফুলী নদীতে পড়ে; পাইলট রক্ষা পান।

৮. ১০ অক্টোবর ২০১১ – চট্টগ্রাম:

শাহ আমানত বিমানবন্দরে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়; ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মুনতাসিন বেঁচে যান।

৯. ২০ ডিসেম্বর ২০১০ – বরিশাল:

দুটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে দুজন স্কোয়াড্রন লিডার নিহত হন।

১০. এপ্রিল ২০০৮ – ঘাটাইল, টাঙ্গাইল:

এফ-৭ প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে স্কোয়াড্রন লিডার মোর্শেদ হাসান নিহত হন।

এই দুর্ঘটনাগুলোতে বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ বৈমানিক প্রাণ হারিয়েছেন এবং বহু প্রশিক্ষণ বিমান ধ্বংস হয়েছে। প্রতিবারই যান্ত্রিক ত্রুটি বা প্রশিক্ষণকালীন সমস্যাকেই কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, "মেয়াদোত্তীর্ণ ও পুরনো যুদ্ধবিমান ব্যবহারের ঝুঁকি ও নিরাপত্তা নীতিমালার বাস্তবায়নে ত্রুটি এই ধারাবাহিক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হতে পারে।"

উত্তরার সাম্প্রতিক দুর্ঘটনার পর জনসাধারণ ও বিশেষজ্ঞরা এখন বিমান নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক সংস্কার দাবি করছেন।

সিটিজি পোস্ট/ এসএইচএস