রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এই সাক্ষাতে আবরারের বাবা মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ ও মামা মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাতের সময় আবরার ফাহাদের পরিবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে আবেদন জানায়, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থান পর্যন্ত সময়ে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের তালিকা প্রণয়ন করে প্রতিটি ঘটনার তদন্তের জন্য।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “গত ১৫ বছরে ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং তৎকালীন সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডগুলোর তালিকা তৈরি ও তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।”

আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, “দেশের স্বার্থে কথা বলার কারণে আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আবরার অসম পানি বণ্টনের বিরুদ্ধে কথা বলেছিল, দেশপ্রেম থেকেই সে প্রতিবাদ করেছিল।” তিনি মামলার বিচার দ্রুত শেষ করার জন্য সরকারের সহায়তা কামনা করেন।

তিনি আরও জানান, কুষ্টিয়ার গড়াই নদীর ওপর একটি সেতু না থাকায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষের যাতায়াতে দুর্ভোগ হচ্ছে। সেখানে একটি সেতু নির্মাণের অনুরোধও জানান প্রধান উপদেষ্টার কাছে।

আবরার ফাইয়াজ বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও শিক্ষার্থী বান্ধব হয়ে উঠেনি। প্রয়োজনীয় ল্যাব, সরঞ্জাম ও পরিবেশের ঘাটতি রয়েছে। আমরা চাই এই সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে মৌলিক পরিবর্তন আনবে।”

তিনি বুয়েটসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র‍্যাগিং বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানান।

এই সাক্ষাৎ শেষে প্রধান উপদেষ্টা পরিষদ ২০০৯-২০২৪ সালের সময়কালে সংঘটিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির নির্দেশ দেন এবং বলেন, “এদের কেউই দায়মুক্তি পাবে না। প্রতিটি রক্তের হিসাব রাখা হবে।”

সিটিজিপোস্ট/আরকে