বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) স্কুলের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দগ্ধ ও গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৫১ জন। এদের মধ্যে ৪০ জন শিক্ষার্থী, ৭ জন শিক্ষক, একজন অভিভাবক, একজন আয়া ও একজন পিয়ন রয়েছেন। এ ছাড়া এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৫ জন, যাঁদের মধ্যে তিনজন শিক্ষার্থী ও দুজন অভিভাবক।

ঘটনাটি ঘটে গত ২১ জুলাই, দুপুর ১টা ১২ মিনিট থেকে ১টা ১৪ মিনিটের মধ্যে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই সময় একটি এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে উড়ার সময় বিদ্যালয়ের দোতলা ভবনে বিধ্বস্ত হয়। দুপুর ১টায় স্কুল ছুটি হয়ে যাওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী অভিভাবকের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ঠিক তখনই ঘটে এই হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্ঘটনার তাৎক্ষণিক পর মুহূর্তের মধ্যেই শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী উদ্ধার কাজে নেমে পড়েন। পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত দল উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়।

২২ জুলাই স্কুল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তবে এতে শুধু মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সামগ্রিক হতাহতের তথ্য আইএসপিআর প্রকাশ করছে বলে জানানো হয়।

মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ জানায়, “আমাদের শিক্ষার্থী ও সন্তান হারানোর এ চরম শোকসন্তপ্ত অবস্থায় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সবার সহানুভূতি ও সহযোগিতা আমাদের সাহস জুগিয়েছে। আমরা তাঁদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”

এছাড়া আহতদের সুচিকিৎসায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জরুরি সেবা সেল গঠন করেছে বলে জানানো হয়।

এই দুর্ঘটনার পেছনে সম্ভাব্য কারণ ও যুদ্ধবিমান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া নিয়ে পৃথক অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনও প্রস্তুত করা হচ্ছে বলা জানা যায়।

সিটিজি পোস্ট/ এসএইচএস