বহরের বাকি একটি জাহাজ যদি অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করে তবে সেটিকেও আটক করা হবে।
গাজায় সমুদ্রপথে ত্রাণ নিয়ে যাওয়া গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার একটি বাদে বাকি সব নৌযান আটক করেছে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ বা আইনসিদ্ধ নৌ-অবরোধ ভাঙার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে।”
ইসরায়েলি মন্ত্রণালয়ের দাবি, আটক হওয়া নৌযানের সব যাত্রী নিরাপদ ও সুস্থ আছেন। তাঁদের ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং সেখান থেকে ইউরোপে ফেরত পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, বহরের বাকি একটি জাহাজ যদি অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করে তবে সেটিকেও আটক করা হবে।
ফ্লোটিলা ট্র্যাকারের তথ্য অনুযায়ী, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় মোট ৪৪টি নৌযান ছিল। এর মধ্যে প্রায় ৫০০ যাত্রী ছিলেন, যাঁদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামের নাগরিক ছাড়াও ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক রয়েছেন।
ইসরায়েলি বাহিনী কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ নিয়ে এই অভিযানে অংশ নেয়। বুধবার রাতে প্রথমবারের মতো গাজা থেকে প্রায় ১২৯ কিলোমিটার দূরে ভূমধ্যসাগরে ফ্লোটিলার নৌযানগুলোকে বাধা দেওয়া হয়। এর পর বুধবার ও বৃহস্পতিবার ধাপে ধাপে নৌযানগুলো আটক করা হয়।
আটক হওয়া নৌযানগুলোর যাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন সুইডেনের জলবায়ু ও অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত ব্যক্তি।
প্রথম দফায় আটক হওয়া নৌযানগুলোকে স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে নেওয়া হতে পারে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে বন্দরের দূরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার। ইসরায়েল জানিয়েছে, যাত্রীদের প্রক্রিয়া শেষে উড়োজাহাজে করে ইউরোপে পাঠানো হবে।
সিটিজিপোস্ট/ এসএইচএস