শনিবার (২৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম তথা দেশের রাজনৈতিক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আবদুল্লাহ আল নোমান যে অবদান রেখেছেন, তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি ছিলেন একজন উদার ও বড় মাপের মানুষ, যিনি আজীবন সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। চট্টগ্রামের উন্নয়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তিনি।”

তিনি আরও বলেন, “মন্ত্রণালয়ের যত ভালো উদ্যোগ রয়েছে, তার অধিকাংশই তার সময় শুরু হয়েছিল। তার গৃহীত প্রকল্পগুলো আজও চালু রয়েছে। আমি যতদিন দায়িত্বে আছি, দেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে কাজ করে যাবো।”

স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান। তিনি বলেন, “বিশ্বমানের পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা অর্জন করছে। এটি দেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে শতভাগ শিক্ষার্থী বিদেশে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পায়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপকার হিসেবে সিভাসু পরিবার মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমানের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবে।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত নেতার পুত্র সাঈদ আল নোমান, সিভাসুর পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) প্রফেসর ড. এ. কে. এম. সাইফুদ্দিন এবং পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রাশেদুল আলম।

স্মরণসভার শুরুতে “সিভাসু এবং আবদুল্লাহ আল নোমান” শীর্ষক একটি মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আহসানুল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।

সিটিজি পোস্ট/ জাউ