শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ দাবি জানান দলটির মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের।

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশের জনগণের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রতি আশা-আকাঙ্ক্ষা থাকলেও বাস্তবচিত্রে এখন অস্বস্তি, অনিশ্চয়তা ও হতাশা বিরাজ করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর ঝগড়া-বিবাদ জনমনে নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে সংশয় তৈরি করেছে। সরকার ও রাজনীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে সাম্প্রতিক ‘মবের’ ঘটনা। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে অশালীন ভাষা ও উসকানিমূলক বক্তব্য পুরোনো ধারারই প্রতিচ্ছবি।”

ড. কাদের বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছে। যদিও কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ চলছে, তবুও মৌলিক সংস্কার ইস্যুতে পক্ষগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গারে লিপ্ত। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হতে পারে।”

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘটিত গুম, খুন, গণহত্যা ও অপকর্মের বিচার দাবি করে তিনি বলেন, “আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।”

ইসলামী রাজনৈতিক শক্তির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা ইসলামী দল ও মতাদর্শভিত্তিক শক্তিগুলোর ঐক্য চাই। খেলাফত মজলিস আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি আসনে একজন করে প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। আগস্ট মাসের মধ্যে ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। এরই মধ্যে ১০০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।”

সংগঠনের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির সিরাজুল হক, সাইয়্যেদ ফেরদাউস বিন ইসহাক, মুফতি আবদুল হামিদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, মো. আবদুল জলিল, এ এ তাওসিফসহ আরও অনেকে।

সিটিজি পোস্ট/ এসএইচএস