চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে দুর্নীতি যেন খোলামেলা বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। আমদানিকারকদের অভিযোগ-ঘুষ ছাড়া কোন সেবাই পান না তারা!
সর্বশেষ চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজীব রায় ও তার সহযোগী মাইনুদ্দীনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করার ঘটনাই প্রমাণ করছে কাস্টমস দপ্তরে দুর্নীতির চক্র কতটা গভীর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম-১ জেলা কার্যালয়ের একটি বিশেষ টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন। চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর উপপরিচালক এস.এ.এম বিপ্লব বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, হোমল্যান্ড প্লাস্টিক স্যু ইন্ডাস্ট্রিজের প্রোপাইটর আমির হোসেনকে শুল্কায়ন সেকশন-৭(বি)-এর কর্মকর্তা রাজীব রায় ও মো. ছারওয়ার উদ্দিন ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা না দিলে পণ্য ছাড় বিলম্ব বা নিলামে বিক্রির হুমকি দেয়া হয়।
এ বিষয়ে হোমল্যান্ড প্লাস্টিক স্যু ইন্ডাস্ট্রিজের প্রোপাইটর আমির হোসেন সিটিজি পোস্টকে বলেন, "নিয়ম মেনে সব কাগজপত্র জমা দিলেও কাষ্টমস কর্মকর্তাদের খেয়ালখুশি ছাড়া কোনো ফাইল এগোয় না। শুল্ক নির্ধারণ থেকে শুরু করে ছাড়পত্র পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে ঘুষের দৌরাত্ম্য। কখনও অতিরিক্ত অর্থ দাবি আবার কখনও ফাইল ঝুলিয়ে রেখে করে ইচ্ছাকৃত হয়রানি।"
সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকদের দাবি, এটি নতুন কিছু নয়, বরং এ ধরণের ঘটনা কাস্টমসের প্রতিদিনের চিত্র।
তারা বলেন, "কাস্টমসে দুর্নীতি এখন সংগঠিত অপরাধের রূপ নিয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে দালাল চক্র সবাই এতে জড়িত। ফলে আমদানিকারকরা ঘুষ দিতে বাধ্য হন।"
চট্টগ্রামের বন্দরে প্রতিদিন হাজারো কনটেইনার খালাস হয়। আমদানিকারকদের অভিযোগ, এসব খালাসে বিলম্বের পেছনে অন্যতম কারণ কর্মকর্তাদের ঘুষ বাণিজ্য। এতে ব্যবসায় ব্যয় বাড়ে, সময় নষ্ট হয় এবং শেষ পর্যন্ত ভোক্তার ওপরই এর চাপ পড়ে।
দুদক কর্মকর্তারা বলেন, কাস্টমসে দুর্নীতি বন্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে শুধুই ফাঁদে ধরা নয়, মূল চক্রকে চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি না দিলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, ভুক্তভোগী আমির হোসেনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক তদন্ত শুরু করে এবং আইন ও বিধি অনুযায়ী ফাঁদ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়। অভিযানের সময় দুদকের বিশেষ টিম ছদ্মবেশে ঘুষ লেনদেন পর্যবেক্ষণ করে। পর্যবেক্ষণের সময় রাজীব রায় ও মাইনুদ্দিন ঘুষ গ্রহণের মুহূর্তে হাতেনাতে আটক করা হয়।
অভিযানের পর দস্তাবেজ ও আলামতের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি, অভিযানের প্রেক্ষিতে সাক্ষীদের বক্তব্য গ্রহণসহ সকল আইনানুগ কার্যক্রম সম্পন্ন করে মামলা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে জানান দুদক কর্তৃপক্ষ।
সিটিজি পোস্ট/এইচএস
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল মিলে মোট ১ হাজার ৮৮ জন শিক্ষার্থী মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ৪৮৮ জন এবং বিভিন্ন হল সংসদে ৬ শত জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত দশটায় মনোনয়নপত্র বিতরণ শেষে প্রার্থীদের বিষয়টি ন...
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল মিলে মোট ১ হাজার ৮৮ জন শিক্ষার্থী মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ৪৮৮ জন এবং বিভিন্ন হল সংসদে ৬ শত জন প্রার্থী মনোন...