আওয়ামী সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের ৬ আগষ্ট দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তবে খবর আসে ওই দিন ঢাকা শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হন তিনি। এরপর তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। এর কিছুদিন পর হাছান মাহমুদ অজানা পথে ইউরোপ পাড়ি জমিয়েছেন বলে নানা সংবাদ মারফৎ জানা যায়। আরও জানা যায়, তিনি বর্তমানে বেলজিয়ামে বসবাস করছেন।
হাছান মাহমুদকে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশ্যে তেমন কোন কর্মসূচিতে দেখা না গেলেও সাম্প্রতিক সময়ে কানাঘুষা শোনা যায় তিনি শেখ হাসিনার সাথে দেখা করতে গোপনে ইউরোপ থেকে ভারতে গিয়েছিলেন।
প্রবাসী সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর তার ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন, হাছান মাহমুদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে ভারত গিয়েছিলেন, কিন্তু শত চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আবারও ফিরে গেছেন ইউরোপে।
বুধবার (৩০জুলাই) নিজের ফেসবুক পোস্টে জাওয়াদ নির্ঝর লিখেন, 'সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ভারত গেছিল হাসিনার সাথে দেখা করতে। দেখা না পেয়ে ফিরে এসেছে। ৩৫৯ দিন আগে শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে যায়। তারপর তাকে আর কোথাও দেখা যায়নি। কোনো নেতাকর্মী তার সাথে সাক্ষাৎ করতে পারেনি।'
তবে বাস্তবে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হলেও ভারতে থেকে শেখ হাসিনা হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম, ইমোতে সক্রিয় আছেন বলে জানিয়েছেন জাওয়াদ নির্ঝর।
সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝরের করা এই ফেসবুক পোস্টের সত্যতা যাচাইয়ের অনুসন্ধানে নামে সিটিজি পোস্ট প্রতিবেদক। এর প্রেক্ষিতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় দেশে বিদেশে পালিয়ে থাকা যুবলীগ-আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতা-কর্মীর সাথে।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় যুবলীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিটিজে পোস্টকে সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝরের ফেসবুক পোস্টের দাবীকে সত্য দাবি করে বলেন, চলতি বছরের জুলাই মাসের ১০-১১ তারিখ শেখ হাসিনার সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে হাছান মাহমুদ ভারতে যান। তবে দীর্ঘদিন চেষ্টার পরও শেখ হাসিনার দেখা না পেয়ে একই মাসের ২৪-২৫ তারিখ হতাশ হয়ে আবারো বেলজিয়ামে ফিরে যান হাছান মাহমুদ।
নাম প্রকাশ না করা ওই কেন্দ্রীয় যুব লীগ নেতা আরও জানান, তিনি (হাছান মাহমুদ) প্রায় ১২-১৪ দিন ভারতে ছিলেন। এই সময় তিনি বারংবার শেখ হাসিনার সাথে দেখা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
ওই কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতার ভাষ্যমতে- বর্তমানে শেখ হাসিনার সব চাইতে কাছের ও আস্থাভাজন নেতাদের একজন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
শেখ হাসিনার সাথে দেখা করতে না পেরে হাছান মাহমুদ দারস্ত হন নওফেলের ডেরায়। তবে তাতেও কোন লাভ হয়নি। এতকিছুর পরও শেখ হাসিনার সাথে দেখা করার স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল হাসান মাহমুদের।
সর্বশেষ কোন কুল-কিনারা খুঁজে না পেয়ে হাছান মাহমুদ দারস্ত হন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের একান্ত আস্থাভাজন চট্টগ্রাম সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম চৌধুরীর। তবে মাসুম চৌধুরীও ব্যর্থ হয়েছেন হাছান মাহমুদকে নওফেলের মাধ্যমে হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করিয়ে দিতে ।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে হাছান মাহমুদের নওফেলের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেয়ার ব্যাপারটি অস্বিকার করে বলেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সাথে আমার এর আগেও কয়েকবার কথা হয়েছিল। তিনি (হাছান মাহমুদ) নিজেই আমাকে কল দিয়েছিলেন, তবে নওফেলের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আমার সাথে কোন কথা হয়নি।
এছাড়া সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুম চৌধুরী আরো বলেন, আপাতত নওফেল কারো কল ধরেন না। আমার সাথেও তার যোগাযোগ বন্ধ। নওফেলের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।
এককালের শেখ হাসিনার আস্থাভাজন প্রভাবশালী নেতাদের সময়ের ব্যবধানে এই দুরবস্থার কথা শুনে রাজনীতি সংশ্লিষ্ঠরা বলাবলি করছেন রাজনীতিতে আসলেই শেষ কথা বলে কিছু নেই।
সিটিজি পোস্ট/এইচএস
৩১ জুলাই, ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনূস যে সময়ের কথা বলেছেন, নির্বাচন তার একদিন পরেও হবে না—এ কথা জানিয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আমরা প্রত্যাশা করছি, এই নির্বাচন হবে অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে এবং সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হবে।বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত এক সংলাপে তিনি এসব কথা বলে...
৩১ জুলাই, ২০২৫
৩১ জুলাই, ২০২৫
৩১ জুলাই, ২০২৫
৩১ জুলাই, ২০২৫
৩১ জুলাই, ২০২৫
৩১ জুলাই, ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনূস যে সময়ের কথা বলেছেন, নির্বাচন তার একদিন পরেও হবে না—এ কথা জানিয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আমরা প্রত্যাশা করছি, এই নির্বাচন হবে অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে এবং সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হবে।বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ের গণম...