রবিবার (১০ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বার্তায় জানিয়েছে, গত শনিবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরী ও ফয়েজ তৈয়ব আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

ফয়েজ তৈয়ব আহমেদ জানিয়েছেন, অক্টোবরের মধ্যে বডিক্যাম সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে, যাতে নির্বাচনের আগে পুলিশ সদস্যরা এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ফিচার ব্যবহারে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। জার্মানি, চীন ও থাইল্যান্ডের তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরবরাহ নিয়ে আলোচনা চলছে। নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও কনস্টেবলরা এসব ক্যামেরা বুকে ঝুলিয়ে রাখবেন।

প্রধান উপদেষ্টা দ্রুত ক্রয়প্রক্রিয়া শেষ করে পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ দেন এবং বলেন, “যেকোনো মূল্যে সব ভোটকেন্দ্রের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে চাই।”

এছাড়া বৈঠকে আসন্ন নির্বাচনের জন্য একটি ইলেকশন অ্যাপ চালুর পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। অ্যাপটিতে প্রার্থীদের তথ্য, ভোটকেন্দ্রের আপডেট এবং অভিযোগ জানানোর ইন্টারঅ্যাকটিভ ফিচার থাকবে। প্রধান উপদেষ্টা অ্যাপটি দ্রুত চালু করে দেশের ১০ কোটির বেশি ভোটারের জন্য ব্যবহারবান্ধব করার নির্দেশ দেন।