চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) উত্তর-দক্ষিণ শাখার বিশেষ অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল ও তিন রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধারসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি বাকলিয়া থানার একটি আলোচিত হত্যা মামলার অন্যতম আসামী বলে পুলিশ জানিয়েছে।

রোববার (২৭ জুলাই) রাতে ডিবি পুলিশের একটি দল বাকলিয়া থানাধীন নতুনব্রিজ মোড় এলাকায় মাদক ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্ত বিশেষ এই অভিযানটি পরিচালিত করে।

সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-উত্তর) মোঃ হাবিবুর রহমান।

তিনি জানান, ‘নতুন ব্রিজের তক্তারপুল এলাকার খালপাড়ে কিছু সন্ত্রাসী অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি দল সেখানে পৌঁছালে দুজন ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় একজনকে আটক করা সম্ভব হয় এবং অপরজন পালিয়ে যায়।’

গ্রেফতারকৃত আসামির নাম মোঃ সুমন (১৯), পিতা-মোঃ জামাল, মাতা-জোনাকি বেগম। তার স্থায়ী ঠিকানা কুমিল্লার মুরাদনগরে হলেও বর্তমানে সে চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকার দৌলতখানের কলোনিতে বসবাস করছে। পলাতক আসামির নাম মোঃ আসিফ (২৬) বলে জানা যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মোঃ সুমন স্বীকার করে যে, গত ২৫ জুলাই সন্ধ্যায় বাকলিয়া থানাধীন আরাকান রোড সংলগ্ন ৫ নম্বর ব্রিজের পশ্চিম পাশে মাদক ব্যবসার আধিপত্য ও পূর্ব শত্রুতার জেরে তারা দুজন মিলে মোঃ মহিউদ্দিন (৪৫) নামের একজনকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় গত শনিবার (২৬ জুলাই) বাকলিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

পরবর্তীতে ডিবি পুলিশের অভিযানে গ্রেফতারকৃত সুমনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়। পিস্তলটি খালের পাড়ে ইটের স্তূপের নিচে লুকানো ছিল। উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি একটি পুরাতন কালচে রঙের সচল বিদেশি পিস্তল, যার গায়ে খোদাই করা রয়েছে "NO-1711", "AUTO PISTOL" ও "MADE IN U.S.A"। পিস্তলের সঙ্গে একটি ম্যাগাজিন যুক্ত ছিল, যাতে তিন রাউন্ড তাজা গুলি পাওয়া যায়। গুলিগুলোর পারকিউশন ক্যাপে খোদাই ছিল "KF 7.65"।

সিটিজিপোস্ট/এসএমএফ