সোমবার (১৮ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ে বলা হয়, চাকরি হারানো কর্মকর্তাদের সকল সুযোগ-সুবিধা ফেরত দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা ছিল স্বাধীন ও সার্বভৌম ক্ষমতার ওপর অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ।

এর আগে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া এসব কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।

২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিল করে তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছিল। পরে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে এবং চারটি পৃথক রিভিউ আবেদন করে। এ বিষয়ে দীর্ঘ শুনানি শেষে আপিল বিভাগ আজ পূর্ণাঙ্গ রায় ঘোষণা করল।

আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহউদ্দিন দোলন, প্রবীর নিয়োগী ও মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক এবং আইনজীবী মুহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া।

এর আগে, ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছিল। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ২৫ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি সেই রায় স্থগিত করেন এবং নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলেন। পরবর্তীতে, ২০১০ সালের ১২ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ সরকারের করা লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে ট্রাইব্যুনালের রায় স্থগিত রাখে।

সিটিজিপোস্ট/এসএমএফ