চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ (১৪ জুলাই) প্রতিবেদন অনুসারে, জেলায় নতুন করে ৭ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন শনাক্ত হয়েছিল ২৩ জন। এ বছর ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৬১১ জন।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ (১৪ জুলাই) প্রতিবেদন অনুসারে, জেলায় নতুন করে ৭ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন শনাক্ত হয়েছিল ২৩ জন। এ বছর ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৬১১ জন।
ডেঙ্গু আক্রান্তে বাঁশখালী উপজেলা শীর্ষে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, আক্রান্তদের মধ্যে ২৭৯ জন নগরের এবং ৩৩২ জন জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত বাঁশখালীতে(১০৪) জন। এরপর রয়েছে সীতাকুণ্ডে ৭৫, সাতকানিয়ায় ২৬, আনোয়ারায় ২৫, লোহাগাড়ায় ২৩, রাউজানে ১৩, পটিয়ায় ১১ এবং কর্ণফুলীতে ১০ জন।
চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু মশাবাহিত রোগ হওয়ায় এর প্রতিরোধে প্রধান কাজ হচ্ছে মশকনিধন ও জমে থাকা পানি পরিষ্কার করা। তবে নগরবাসীদের অভিযোগ, সিটি কর্পোরেশনের ওষুধ ছিটানো কার্যক্রম কার্যকর নয়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, তারা ৪১টি ওয়ার্ডে নিয়মিত স্প্রে ও ফগিং কার্যক্রম চালাচ্ছে। প্রতিটি বড় ওয়ার্ডে ৭ জন এবং ছোট ওয়ার্ডে ৫ জন কর্মী ওষুধ ছিটানোর কাজে নিয়োজিত আছেন। এ ছাড়া, ৭২ সদস্যবিশিষ্ট ৬টি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে, যারা ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হওয়া এলাকাগুলোতে কাজ করছেন।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিনটি মেডিসিন ওয়ার্ডে আলাদা ডেঙ্গু কর্নার চালু রয়েছে। রোগী ভর্তি হচ্ছেন নিয়মিত, তবে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় কোনো ঘাটতি নেই।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, ডেঙ্গুর হটস্পট হিসেবে নগরের ছয়টি এলাকা লাল, পাঁচটি'হলুদ, সাতটি নীল এবং চারটি এলাকা সবুজ তালিকাভুক্ত হয়েছে। তবে, এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতেও সিটি কর্পোরেশনের কার্যকর উপস্থিতি ও স্প্রে কার্যক্রম দৃশ্যমান নয় বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।
গত তিন বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালে চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৪,০৮৭ জন এবং মারা যান ১০৭ জন। ২০২৪ সালে আক্রান্ত হন ৪,৩২৩ জন, মারা যান ৪৫ জন। ২০২২ সালে ছিল আক্রান্ত ৫,৪৪৫ জন এবং মৃত ৪১ জন।
চলমান বর্ষা মৌসুমে রাস্তাঘাটে জমে থাকা পানিই এখন মশার প্রজননস্থল হয়ে উঠছে। দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
১৯ জুলাই, ২০২৫
চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৪৬৪১টি পুকুরের মধ্যে প্রায় অর্ধেক, অর্থাৎ ২৩৯০টি পুকুরই ভূমিদস্যুদের দখলে রয়েছে। এছাড়া, প্রশাসনের নাকের ডগায় নতুন করে মোহরা এলাকার সেলিমের পৈতৃক বাড়ির একটি পুকুর দিনরাত ভরাট করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে, যা বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে বাংলাদেশ পরিবেশ সু...
১৯ জুলাই, ২০২৫
১৯ জুলাই, ২০২৫
১৯ জুলাই, ২০২৫
১৯ জুলাই, ২০২৫
১৮ জুলাই, ২০২৫
১৯ জুলাই, ২০২৫
চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৪৬৪১টি পুকুরের মধ্যে প্রায় অর্ধেক, অর্থাৎ ২৩৯০টি পুকুরই ভূমিদস্যুদের দখলে রয়েছে। এছাড়া, প্রশাসনের নাকের ডগায় নতুন করে মোহরা এলাকার সেলিমের পৈতৃক বাড়ির একটি পুকুর দিনরাত ভরাট করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে, যা বন্ধে কার্যকর কোনো ...