সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী চন্দ্রনাথধাম (কাঞ্চননাথ-চন্দ্রনাথ-আদিনাথ) ঘিরে পাঁচ বছর ধরে চলা উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড রোধে মাঠ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাকে সজাগ থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন সরকারের তিন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা। বুধবার সকালে রেলভবনে চন্দ্রনাথধাম স্রাইন কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠক থেকেই এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠকে স্রাইন কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, ধারাবাহিকভাবে সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্টের চেষ্টা চলছে। এ অবস্থায় তারা সরকারের কাছে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
এসময় চন্দ্রনাথ পাহাড়ে অবস্থিত মন্দিরে যাতায়াতের সিঁড়ি সংস্কারের দাবিও তুলে ধরা হয়। স্রাইন কমিটির সভাপতি অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য জানান, সিঁড়ি বর্তমানে নাজুক অবস্থায় রয়েছে, যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদীকে ফোন করে সংস্কারের ব্যবস্থা নিতে বলেন।
বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, অন্তবর্তী সরকার ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি নির্বিশেষে বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে কাজ করছে।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেন, অন্য ধর্মের স্থাপনায় আক্রমণ কোনোভাবেই ধর্মীয় আচরণ হতে পারে না। এটা অপরাধ। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্টের কোনো প্রচেষ্টা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নায্য দাবি-দাওয়াগুলো হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বরাবর পাঠানোর আহ্বান জানান।
রেল উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বৈঠকে বলেন, চন্দ্রনাথ মন্দির শুধু ধর্মীয় কেন্দ্র নয়, এর সাথে ইতিহাস ও ঐতিহ্য জড়িত। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে এমন কোনো উসকানিমূলক কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না। তিনি আরও জানান, উসকানির কোনো চিহ্ন পাওয়া মাত্রই কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।