বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রৌফাবাদ এলাকার পাহাড়িকা হাউজিংয়ের এফজেড টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ধারণা করছে, পারিবারিক কলহের জেরে ফাতেমাকে হত্যার পর মরদেহ টুকরো করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ঘাতক।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান জানান, “রাতের বেলায় ওই ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ ও অস্বাভাবিক শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা আমাদের খবর দেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, দরজা ভেতর থেকে আটকানো। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে খণ্ড-বিখণ্ড অবস্থায় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করি।”

তিনি আরও বলেন, “ঘটনার পর থেকে স্বামী সুমন পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।”

পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, গলা কেটে হত্যার পর মরদেহ একাধিক টুকরো করে ঘরের ভেতরে বিভিন্ন স্থানে ফেলে রাখা হয়। হত্যাকাণ্ডে ধারালো অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে। নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।

ওসি কামরুজ্জামান জানান, “এটি একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। আমরা ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছি। এ ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং দ্রুতই অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হবে।”

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত ফাতেমা ও সুমনের বিয়ে হয়েছিল প্রায় দুই বছর আগে। তাঁদের দাম্পত্য জীবনে বিভিন্ন সময় কলহ দেখা দিচ্ছিল বলে স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এর সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত চলছে।