আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর শীর্ষ দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় ৫৪ নম্বর সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত হয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘‘পুলিশের সদর দপ্তর থেকে প্রাপ্ত ২১৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে দেখা যায়, আন্দোলন দমনে এলএমজি, এসএমজি, চাইনিজ রাইফেল, শটগান, রিভলভার ও পিস্তলসহ বিভিন্ন মারণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়।’’

তিনি আরও জানান, ‘‘তদন্তে সংগৃহীত আলামত, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন, ভিডিও-অডিও প্রমাণ, বিশেষজ্ঞ মতামত, শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত ও প্রত্যক্ষদর্শীর জবানবন্দি এবং আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি বিশ্লেষণে উঠে এসেছে যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তৎকালীন পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন পরিকল্পিতভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেছিলেন।’’

আলমগীর জানান, ‘‘২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়। এ সময় হাজার হাজার মানুষ গুরুতর জখম হন এবং অনেকের অঙ্গহানি ঘটে।’’

এছাড়া নির্বিচারে আটক, নির্যাতন, অপহরণ, মিথ্যা মামলা দায়ের, জীবিত ও মৃত ব্যক্তিকে পুড়িয়ে ফেলা, চিকিৎসা ও জানাজা-দাফনে বাধা দেওয়া, নিহতদের মরদেহ পরিবারকে না দিয়ে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন, জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায়, হাসপাতালে আহতদের ওপর হামলা এবং আন্দোলনরত ছাত্রীদের যৌন নিপীড়নের মতো ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সিটিজিপোস্ট/ এসএইচএস